হিলি: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগীমৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি গ্রামীণ হাসপাতালে। সোমবার কর্তব্যরত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় হিলি থানার পুলিশ। এরপর রোগীর আত্মীয়দের সঙ্গে বৈঠক করেন আইসি ও বিএমওএইচ। ওই বৈঠকে মৃত্যুর কারণ নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম মুক্তি কর্মকার (৫৫)। রবিবার রাতে জ্বর নিয়ে গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন হিলি থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ওই মহিলা। প্রাথমিক পরীক্ষার পর চিকিৎসক জানান, মুক্তির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, আচমকাই মধ্যরাতে তাদের হাসপাতাল থেকে ডেকে পাঠানো হয়। সেই সময় মুক্তির অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়। তড়িঘড়ি হাসপাতালে ছুটে আসেন আত্মীয়রা। ততক্ষণে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা অ্যাম্বুল্যান্স ডেকে বালুরঘাট হাসপাতালে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। তখনই পরিবারের লোকজন জানতে পারেন যে, রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
মৃতার ছেলে বাপী কর্মকারের অভিযোগ, ‘বালুরঘাট হাসপাতালে স্থানান্তর করার সময় আমরা দেখি মায়ের দেহ ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। সন্দেহ হতেই চিকিৎসককে জানাই যে, মা মারা গিয়েছেন। তবে চিকিৎসক সেই কথায় গুরুত্ব না দিয়ে জোর করে মাকে বালুরঘাটে পাঠানোর চেষ্টা করছিলেন। শেষে পরিবারের চাপে পড়ে মাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।’ ঘটনার পরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতার আত্মীয়রা।
হিলির বিএমওএইচ রুদ্রাংশু মজুমদার বলেন, ‘রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হচ্ছে। তাদেরও বিষয়টি নিয়ে জানানো হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ তদন্ত করে চিকিৎসকের শাস্তির বিষয়টি বিবেচনা করবে।’