শিবশংকর সূত্রধর, কোচবিহার: ধীরে ধীরে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসা সম্পর্কিত পরিকাঠামো স্থানান্তরিত করে নতুন ক্যাম্পাসে সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। তাই বৃহস্পতিবার ৮৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন করে একটি ন’তলা ভবন তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হল। দু’বছরের মধ্যে সেটির কাজ সম্পন্ন করা হবে। নতুন ভবনটি পাঁচ একর জমির উপর তৈরি করা হবে।
বর্তমানে মেডিকেলের দুটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সুনীতি রোড এলাকার একটি ক্যাম্পাসে চিকিৎসা সম্পর্কিত কাজকর্ম করা হয়। কৃষিবীজ খামার এলাকায় প্রায় ২৫ একর জায়গার উপর মেডিকেলের আরেকটি ক্যাম্পাস রয়েছে। সেখানেই নতুন ভবন তৈরি করা শুরু হল। বৃহস্পতিবার রোগীকল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়, মেডিকেলের অধ্যক্ষ ডাঃ নির্মলকুমার মণ্ডল, এমএসভিপি ডাঃ রাজীব প্রসাদ, সদর মহকুমা শাসক কুণাল বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আধিকারিকরা নতুনের ভবনের জায়গা পরিদর্শন করেন।
পার্থপ্রতিম বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে ১৮টি বিভাগ চালু রয়েছে। ধীরে ধীরে আরও বিভাগ বাড়বে। ফলে আরও বেশি জায়গার প্রয়োজন। সেজন্য নতুন ক্যাম্পাসে ন’তলা (জি+৮) ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এদিন সেই কাজ শুরু হল। এটি তৈরি হলে বর্তমান জায়গা থেকে নতুন জায়গায় চিকিৎসা ব্যবস্থাগুলি স্থানান্তরিত করা হবে।’
বর্তমানে এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের যে ক্যাম্পাসে চিকিৎসা করা হয় সেখানে জায়গার সংকুলান রয়েছে। ছোট একটি ভবনের ভিতরেই বহির্বিভাগের পরিষেবা দেওয়ার পাশাপাশি, থ্যালাসিমিয়া ইউনিট, ল্যাবরেটরি, ব্লাড ব্যাংক, ওষুধের স্টোর রুম, ইনজেকশন বিভাগ, ফার্মাসি রয়েছে। ফলে সেখানে কয়েক হাজার রোগীর ভিড়ে পরিষেবা দিতে সমস্যা তৈরি হয়।
এছাড়াও অন্তর্বিভাগে জায়গার অভাবে প্রতিনিয়তই এক বেডে একাধিক রোগী দেখা যায়। নতুন করে একাধিক বিভাগ খোলা হলেও জায়গার জায়গার অভাবে সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে নতুন ক্যাম্পাসে ন’তলা ভবন তৈরি হয়ে গেলে জায়গার সংকুলানের সমস্যা মিটবে বলে আশাবাদী কর্তৃপক্ষ। এমএসভিপি-এর কথায়, ‘জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে উত্তীর্ণ হওয়ার পর যত দিন যাচ্ছে ততই একের পর এক বিভাগ খোলা হচ্ছে। তাই নতুন ভবন অনেক কাজে আসবে।’
এদিকে, এদিন এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ষষ্ঠ বর্ষপূর্তি পালন করা হয়। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এমজেএন জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিকেল কলেজে উত্তীর্ণ হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে উৎযাপন করতে এদিন বৃক্ষরোপণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসূচি হয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারাও সেখানে অংশ নেন।