ইসলামপুর: অভিযুক্তকে কোমরে দড়ি বেঁধে রাস্তায় হাঁটিয়ে বিতর্কে পাঞ্জিপাড়া পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের পাঞ্জিপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মহম্মদ রাহি খুনে অন্যতম অভিযুক্ত গোলাম মুস্তাফাকে এদিন ২৭ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। মুস্তাফার পরনে ছিল হাফপ্যান্ট, কোমরে চারদিক থেকে দড়ি বাঁধা ছিল। হাতও দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল তার। পায়ে কোনও চটি বা জুতো ছিল না। বৃহষ্পতিবার এই পরিস্থিতিতে তাঁকে ঘিরে রেখে কিছুটা পথ হাঁটিয়ে তারপর গাড়িতে তুলে অন্যত্র নিয়ে যায় পুলিশ। মুস্তাফার আইনজীবী ববি ফিরোজ আহমেদের অভিযোগ, তাঁর মক্কেল অভিযুক্ত মাত্র, পুলিশ যেভাতে তাকে হাঁটিয়েছে তা আইনবিরুদ্ধ এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। এনিয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনকেও জানাবেন।
প্রধান মহম্মদ রাহিকে খুনে মুস্তাফাই যে মূল অভিযুক্ত তা আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন পুলিশ সুপার জসপ্রীত সিং। তবে এদিনের ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে তাঁকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। প্রধান খুনের ঘটনার পর থেকে দু-মাস ধরে পলাতক ছিল মুস্তাফা। যা নিয়ে পুলিশের উপর চাপ বাড়ছিল। শাসকদল তৃণমূলও এনিয়ে পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ হয়। গত ১৫ নভেম্বর তৃণমূলের মিছিল থেকে পাঞ্জিপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে রীতিমতো নিগ্রহ করা হয়। তারপরই ২১ নভেম্বর ঝাড়খণ্ড থেকে মুস্তাফাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পেশ করে পুলিশ। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশ হেপাজত দেয়। তার মধ্যেই এদিন মুস্তাফাকে রাস্তায় দড়ি বেঁধে হাঁটানো হয়। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশকর্তার দাবি, তদন্তের প্রয়োজনেই মুস্তাফাকে হাঁটানো হয়েছে। এদিন মুস্তাফাকে দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। কেউ কেউ পুলিশের ভূমিকায় আপত্তি করলেও অনেকেই খুশি বলে জানা গিয়েছে।