উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ বিশ্বের দরবারে প্রথম ‘কূটনৈতিক স্বীকৃতি’ পেল তালিবান সরকার। আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিল চিন! তালিবান মনোনীত আধিকারিককে বেজিংয়ে নিযুক্ত আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা দিল জিনপিং প্রশাসন। এক সাংবাদিক সম্মেলনে এখবর জানিয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন।
তালিবান মনোনীত বিলাল করিমিকে রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা দিয়েছে চিন। তিনি বিদেশমন্ত্রকের কাছে নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানিয়েছেন,“আমরা বিশ্বাস করি আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক মহল থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া উচিত নয়।” ওয়াং ওয়েনবিন আরও বলেন, “আমরা আশা করছি বিশ্বের প্রত্যাশাগুলো পূরণে আফগানিস্তান সচেষ্ট হবে। একটা উন্মুক্ত রাজনৈতিক পরিকাঠামো গড়ে তুলবে। সমস্ত ধরণের সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করবে। অন্যান্য দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি করবে। বিশেষ করে প্রতিবেশি দেশগুলোর সঙ্গে।”
২০২১ সালে তালিবান দখল করে নেয় আফগানিস্তান। তালিবান ক্ষমতায় আসার পর অন্য কোনও দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। মহিলাদের অধিকার হনন, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিশ্বের দরবারে বারবার সমালোচিত হয়েছে তালিবান সরকার। রাশিয়া ও পাকিস্তানের মতো চিনও কাবুলে তাদের দূতাবাস খুলে রেখেছিল। চিনও তালিবান সরকারকে ‘কূটনৈতিক স্বীকৃতি’ দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে। চিনের এই তালিবান প্রীতিতে ভারত উদ্বিগ্ন। আফগানিস্তানে বিপুল বিনিয়োগ করেছে ভারত। ভারতের বিনিয়োগের পর তালিবান শাসকরা আশ্বাস দিয়েছে, উন্নয়নের স্বার্থে ভারতের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না তারা। নয়াদিল্লিও পর্দার আড়ালে আলোচনা চালাচ্ছে তালিবানের সঙ্গে। ফলে বিশেষ সুবিধা করতে পারছে না পাকিস্তান। এবার ভারতকে চাপে ফেলতে ছায়াযুদ্ধে তালিবানকে হাতিয়ার করতে পারে চিন।