মাথাভাঙ্গা : মাছ ধরার ছিপে ওঠা কচ্ছপটিকে চিকিৎসার পর মানসাই নদীতে ছেড়ে দেওয়া হল। গত বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের পূর্ব মুকুলডাঙ্গার মুজনাই নদীতে মৎস্য শিকারি মকসেদুল মিঞার ছিপের বড়শিতে আটকে যায় ৩০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির কচ্ছপটি। কচ্ছপটির সামনের পায়ে ক্ষত দেখা যাওয়ায় চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে সেখানে দুটো সেলাই দেওয়া হয়। এছাড়াও কচ্ছপটিকে পর্যবেক্ষনে রেখেছিলেন চিকিৎসক ও বনকর্মীরা। রবিবার কচ্ছপটিকে পচাগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বনবিভাগের তেকুনিয়া ইকোপার্ক সংলগ্ন মানসাই নদীতে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইনের শিডিউল টু এর অন্তর্গত এই প্রজাতির কচ্ছপটি। এটিকে মাথাভাঙ্গা পুরসভার নিয়ন্ত্রণাধীন মালিবাগান পুকুরে রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল মাথাভাঙ্গা পুরসভা কর্তৃপক্ষ। রেঞ্জ অফিসার সজল পাল জানান উদ্ধার হওয়া কচ্ছপটিকে মালিবাগান পুকুরে রাখার ব্যাপারে মাথাভাঙ্গা পুরসভা কর্তৃপক্ষের প্রস্তাব কোচবিহারের ডিএফওকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ডিএফও জানিয়েছেন, এই প্রজাতির কচ্ছপ নদীতেই থাকে, তাই পুকুরে ছাড়া সমীচিন হবেনা। আর তাই কোচবিহারের ডিএফওর নির্দেশমতই আজ মানসাই নদীতে কচ্ছপটিকে ছেড়ে দেওয়া হল। মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যান লক্ষপতি প্রামানিক বলেন, ‘কচ্ছপটি মালিবাগান পুকুরে ছাড়া হলে ভালো হত। নদীতে ছাড়ার ফলে আবার হয়ত মৎস্যজীবীদের জালে বা ছিপে ধরা পড়ে সেটির প্রাণ সংশয় ঘটবে। তবে বনকর্তারা যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা মেনে নিতেই হবে।’ মন্তব্য মাথাভাঙ্গা পুরসভার চেয়ারম্যানের।