উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে দেশ থেকে বিজেপিকে হঠাতে কোমর বেঁধে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হয় বিরোধী দলের মিটিং। গঠিত হয় বিরোধী জোট। ‘ইন্ডিয়া’ নামে ইতিমধ্যে পরিচিত সেই জোট। জোটের ভবিষ্যৎ কি হবে তা সময় বলবে, তবে নামকরণ নিয়ে ইতিমধ্যেই নাকি শুরু হয়েছে মতানৈক্য।
সুত্রের খবর, বামদলগুলো সহ অন্যান্য জোট সঙ্গীদের কার্যত অন্ধকারে রেখেই কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেস জোটের নামকরণ করেছে। জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ এই ধারণা নাকি রাহুল গান্ধীর। তবে তিনি নিজে নামকরণ করার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদন চেয়েছিলেন। তৃণমূল সুপ্রিমোর সাথে এ বিষয়ে কথা বলার দায়িত্ব দেন কং নেতা বেনুগোপালকে। রাহুল ‘এন’ এর অর্থ করেছিলেন ‘নিউ’, মমতা তা ‘ন্যাশানাল’ করেন। আলোচনা করেন ‘ডি’ অক্ষর নিয়েও। সোমবার নৈশভোজের পর ঠিক হয় মঙ্গলবার তৃণমূল সুপ্রিমোই নামটি বলবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী মঙ্গলবার খাগড়ের ভাষণের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোটের নামকরণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই অবাক হয়ে যান অন্যান্য জোটসঙ্গীরা। জোটের নাম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন জেইউ নেতা নিতীশ কুমার। পাশাপাশি একই বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন সীতারাম ইয়েচুরি সহ অন্য বাম নেতারা। ইয়েচুরি বলেন জোটের নাম হোক ‘ভি’ ফর ভিকট্রি ফর ইন্ডিয়া’ অথবা ‘ভিকট্রি ফর ইন্ডিয়া’। এ নিয়েও জোটের অন্য নেতারা বলেন, এটা নাম না শ্লোগান মনে হচ্ছে।
তবে জোট নিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবে গুরুত্ব দিয়েছে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব, তা বামদল এবং বাংলার কংগ্রেস নেতাদের পক্ষে যথেষ্টই অস্বস্তির। তার থেকেও বড় কথা সদ্যজাত জোটের নামকরণ নিয়েই যদি জোটের অন্দরে এত মত বিরোধ থাকে তাহলে দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে তাদের ভুমিকা কি হতে পারে তা নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক মহল।