শিলিগুড়ি: বৈচিত্র্য আনতে এবার রাজ্য জু অথরিটির অধীন চিড়িয়াখানাগুলোর মধ্যে বাঘ বিনিময়ের চিন্তাভাবনা করছে বন দপ্তর। এই মুহূর্তে ১২টি চিড়িয়াখানা রয়েছে রাজ্যে। বাঘেদের মধ্যে জেনেটিক বদল আনতে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেল। ইতিমধ্যে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে দুটো রয়েল বেঙ্গল টাইগার নিয়ে যাওয়া হয়েছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। এবার আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকেও একটি মাদি বাঘ পাঠানো হচ্ছে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে। এর বাইরে দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নাইডু হিমালয়ান জুলজিকাল পার্ক সহ অন্যান্য চিড়িয়াখানা, যেখানে বাঘ রয়েছে, সেখানে এই প্রক্রিয়া হবে বলে বন দপ্তর সূত্রে খবর। রাজ্য জু অথরিটির সদস্য সচিব সৌরভ চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘দুটি বাঘ এখান থেকে যেমন গিয়েছে, তেমন একটি মাদি বাঘও নিয়ে আসা হচ্ছে।’
শুরুর দিকে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারিতে শীলা এবং স্নেহাশিস নামে দুটি বাঘ ওডিশার নন্দনকানন থেকে নিয়ে আসা হয়। ওই দুটি বাঘের মধ্যে প্রজননের পর চার শাবকের জন্ম দেয় শীলা। সেগুলোর মধ্যে একটি ছিল সাদা বাঘ।
বন দপ্তর সূত্রে খবর, রয়েল বেঙ্গল টাইগার স্নেহাশিসের আগের প্রজন্ম সাদা বাঘ ছিল। তাই স্নেহাশিষের শাবকদের একটি সাদা বাঘ। এরপর স্নেহাশিসকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। তার বদলে ঝাড়খণ্ডের টাটা স্টিল জুলজিকাল পার্ক থেকে বিভান নামে অপর এক রয়েল বেঙ্গল টাইগারকে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরবর্তীতে শীলা এবং বিভানের শাবক জন্ম নেয় বেঙ্গল সাফারিতে। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে এধরনের জেনেটিক বদল সফল হওয়ায় বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন পরিবর্তন আনার জন্য চিন্তাভাবনা করছে বন দপ্তর।
বনকর্তাদের মত, জেনেটিক পরিবর্তন সফল হলে আরও সাদা বাঘ যেমন মিলতে পারে, তেমন পাওয়া যেতে পারে বিভিন্ন প্রজাতির বাঘ। পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এই প্রক্রিয়া সুফল দিতে পারে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা। এই মুহূর্তে শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে ৯টি বাঘের মধ্যে ৫টি মর্দা। ওই পাঁচটির মধ্যে দুটি শাবক। বাকি তিনটির সঙ্গে প্রজনন ঘটাতেই আলিপুর থেকে একটি পূর্ণবয়স্ক মাদি বাঘ পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।