নাগরাকাটা: লক্ষ্য কি ডুয়ার্সের চা বাগানের সংখ্যালঘু খ্রিস্টান সম্প্রদায়দের মন জয়? রবিবার তৃণমূল কংগ্রেসের (Tmc) ব্রিগেডের সভা মঞ্চ থেকে নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঞ্জয় কুজুরকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দেওয়ার পর এমন ধারনাই তৈরি হয়ে হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি পদে থাকা সঞ্জয় নিজে খ্রিস্টান (Christian)। ডুয়ার্সের সবচেয়ে পুরনো একশো বছরের চম্পাগুড়ি সেক্রেট হার্ট চার্চের সম্পাদক পদেও তিনি আসীন। চা বাগানের খ্রিস্টানদের মধ্যে তিনি যথেষ্ট জনপ্রিয়। খ্রিস্টানদের ভোট আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং চা বাগান ঘেরা এই তিন আসনে অন্যতম ডিসাইডিং ফ্যাক্টরও বটে। নাগরাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরও পদে থাকা সঞ্জয়কে ভাষণের জন্য ডেকে নেওয়ার আগে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী ও সভার সঞ্চালক শশী পাঁজা উপস্থিত জনতাকে তাঁর যে পরিচয় দেন সেখানে সঞ্জয়কে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে উল্লেখ করেন।
রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির খোঁজ খবর রাখেন এমন অনেকে প্রবীণ বাসিন্দাও কোন দলের ব্রিগেড সমাবেশের মঞ্চ থেকে শেষ কবে ডুয়ার্সের কোন নেতা ভাষণ দিয়েছেন বলতে পারছেন না। সেই হিসেবে এদিন ছিল সঞ্জয়ের কাছে একটি বিরাট প্রাপ্তির দিন। তা অস্বীকারও করছেন না তিনি। ওই নেতা বলেন, ‘জনতার মাঝে ছিলাম। হঠাৎ ফোন আসে আমাকেও ভাষণ দিতে হবে। প্রথমটায় বিশ্বাসই করতে পারিনি। খুব কম সময়ের প্রস্তুতিতে বলেছি। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও আমাদের সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকলাম।’
