ব্যুরো রিপোর্ট: একের পর এক রাউন্ডে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ধূপগুড়িতে জিতেছে তৃণমূল। ৪,৩৮৩ ভোটে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায়কে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের নির্মলচন্দ্র রায়। সাধারণভাবে উপনির্বাচনের ভোটের ফলাফল শাসকদলের পক্ষে যাওয়াটাই দস্তুর। এখানে সরকার পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি কেন্দ্রে উপনির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী জয়ী হওয়ায় ধূপগুড়িতেও অন্যরকম কিছু ফল হতে পারে বলে মনে করছিল রাজনৈতিক মহল। তবে তা হয়নি। দস্তুর মেনেই জিতেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। তবে বিজেপি হারলেও তারাও কিন্তু কড়া টক্কর দিয়েছে তৃণমূলের সঙ্গে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, জিতলে ৩ মাসের মধ্যে ধূপগুড়িকে মহকুমা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই অনেকটা বাজিমাত করেছে শাসকদল। মানুষ শাসকদলের এই প্রতিশ্রুতির উপর ভরসা রেখেছে। অন্যদিকে, ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপির পক্ষে যে হাওয়া ছিল সেই হাওয়াও আর নেই। দল অনেকটাই ছন্নছাড়া। ২০২১-এর পর অনেক নেতা-বিধায়ক দল ছেড়েছেন। এর উপরে বিভিন্ন সময় উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা নিয়ে বিজেপির ধোঁয়াশা তৈরির রাজনীতিও মানুষ ভালো চোখে নেয়নি। পঞ্চায়েতেও খুব একটা ভালো ফল হয়নি তাদের। ফলে ২ বছর আগে জেতা আসনেও কিছুটা দূর্বল অবস্থাতেই লড়াইটা শুরু করেছিল গেরুয়া শিবির। সেই জায়গা থেকে তৃণমূলের জয়ের মার্জিন দেখে অনেক বিজেপি নেতাই কিছুটা আশ্বস্ত। তারা মনে করছে, মার্জিন আরও বেশি হলেও কিছু বলার ছিল না।
যদিও তৃণমূল শিবিরের দাবি, প্রথমদিকে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও তারা জয়ের বিষয়ে নিশ্চিত ছিল। তৃণমূল নেতা তথা শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব সকাল থেকেই গণনাকেন্দ্রে ঘাঁটি গেড়ে ছিলেন। ভোটের চূড়ান্ত ফল জানা যেতেই গৌতমবাবু জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের রাজনীতির উপর মানুষ আস্থা রেখেছেন। টুইট করে ঘৃণার রাজনীতির বিরুদ্ধে রায় দেওয়ায় মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।