উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ সপ্তমীর ভোরে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটল কল্যাণীর একটি সোনার দোকানে। ডাকাতদল সোনার দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধে রেখে তালা ভেঙে দেদারে লুটপাট চালাল। দোকানের ভল্ট ভেঙে নগদ সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকা ও প্রচুর সোনা রুপার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কল্যানী থানার পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে দোকানের নিরাপত্তারক্ষীদের।
জানা গিয়েছে, এদিন ভোর তিনটে নাগাদ কল্যাণীর তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালতলা বাজার এলাকায় একটি সোনার দোকানে সশস্ত্র অবস্থায় হানা দেয় আটজন দুষ্কৃতী। প্রথমেই সোনার দোকানের চার নিরাপত্তারক্ষীকে বেঁধে রেখে প্রত্যেকের কাছ থেকে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয় দুষ্কৃতীরা। এরপর গ্যাস কাটার দিয়ে দোকানের গ্রিল ও দরজা কেটে দোকানের ভিতরে যায় দুষ্কৃতীরা। দোকানে ঢুকে একই কায়দায় ভেঙে ফেলে ভল্টের লকার। সেখানে থাকা নগদ প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং কয়েক লক্ষ টাকার সোনার এবং রুপোর গয়না নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। পরে বেলা বাড়তেই স্থানীয়দের নজরে আসে হাত পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছে নিরাপত্তারক্ষীরা। এরপরই স্থানীয়রা বাঁধন খুলে দেওয়ায় সকাল ৬টা নাগাদ খবর দেন দোকান মালিককে। খবর যায় কল্যানী থানায়। নিরাপত্তারক্ষীদের দাবি, দুষ্কৃতীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে এসেছিল ডাকাতি করতে। আর প্রত্যেকের হাতে ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। তারা হিন্দিতেই কথা বলছিল।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ডাকাতির ঘটনায় যুক্ত স্থানীয় দুষ্কৃতীদের একটি চক্র। সোনার দোকানে ডাকাতি করার আগে দুষ্কৃতীরা এলাকায় রেইকি করে গিয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের বিভ্রান্ত করতে তাঁরা নিজেদের মধ্যে অন্য ভাষায় কথাবার্তা বলেছে। দুষ্কৃতীদের খোঁজে ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। নিরাপত্তারক্ষীদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের শনাক্ত করতে সোনার দোকান ও এলাকার বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ শুরু করে পুলিশ।
এই ডাকাতির প্রসঙ্গে সোনার দোকানটির মালিক দীনবন্ধু দেবনাথ বলেন, “আমার সঙ্গে কারও কোনও শত্রুতা ছিল না। দোকানে পর্যাপ্ত নিরাপত্তারক্ষী ছিল। পরিকল্পনামাফিক আমার সোনার দোকানে লুট করা হয়েছে। আমি সর্বস্বান্ত হয়ে গেলাম, পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নিক।”