তপন: গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন নিয়ে বিজেপির মণ্ডল সভাপতিকে মারধর করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে তপন ব্লকের রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন ব্লকের ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত। ৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এককভাবে পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। হরসুরা ও রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু হয়। রামচন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন সংখ্যা ২৭টি। তৃণমূল কংগ্রেস পায় ১৩টি আসন। ১৩টি আসন পায় বিজেপি। ১টি আসনে জেতে কংগ্রেস প্রার্থী। এদিন ছিল বোর্ড গঠন। বেলা ১১টা বাজতেই শাসক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের ২৭ জন সদস্য বোর্ড গঠনের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের সভাকক্ষে হাজির হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যেমন প্রধানের নাম প্রস্তাব করা হয়। বিজেপিও প্রধান গঠন করার পথে হাটে। এনিয়ে দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে শুরু হয় তর্ক, বির্তক। শেষে ঠিক হয় ভোটা হবে। অভিযোগ, ভোটা শুরু হলে তৃণমূল প্রকাশ্যে ভোট দেবার দাবি তোলে। কিন্তু বিজেপি সদস্যরা গোপন ব্যালটে ভোট দেবার দাবি তোলেন। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বচসা। ঘটনায় বিজেপি সদস্যরা সভাকক্ষ থেকে বাইরে আসেন। দলীয় সদস্যদের বাইরে আসতে দেখে তপন ব্লকের বিজেপি ১৪ মণ্ডল সভাপতি গণেশ সরকার, বিজেপি নেতা গৌতম রায়, হরিমন বর্মন গ্রাম পঞ্চায়েতের দিকে এগিয়ে গেলে তৃণমূলিরা তাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গণেশ সরকারকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করে। অভিযোগ, হাঁসুয়া দিয়ে ডান পা আঘাত করা হয়। এবং বাঁ পা ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিশাল পুলিশবাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেয়। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট সদর হাসপাতালে। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
বিজেপির বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায় অভিযোগ করে বলেন, আজকে যখন বোর্ড গঠন হচ্ছিল। সেসময় আমাদের সদস্যদের সকলের সামনে ভোট দেবার কথা বলে। এতে আমাদের সদস্যরা আপত্তি জানিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসে। সেসময় তৃণমূলিরা গণেশ সরকারের উপরে হামলা চালায়। হাঁসুয়া দিয়ে তাঁর এক পা কেটে দেওয়া হয়েছে। আরেক পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে।