আসানসোলঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার প্রথম দিনই উত্তেজনা ছড়াল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলে বারাবনি ব্লকে। এদিন দুপুরে গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির লড়াইয়ের জন্য মনোনয়ন পত্র তোলার জন্য সিপিএমের ১৫ জনের টাকা জমা দেওয়ার ডিসিআর বা ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিভের রসিদ বিডিও অফিসের সামনেই কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এরফলে এই ১৫ জন এদিন মনোনয়নপত্র তুলতেই পারলেন না। এই ঘটনার কথা জানিয়ে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার, আসানসোলের মহকুমা শাসক ও আসানসোল দুর্গাপুরের পুলিশ কমিশনারকে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য ও জেলা সম্পাদক মন্ডলী সদস্য পার্থ মুখোপাধ্যায়।
আসানসোলের মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজা ও বারাবনি থানার পুলিশ জানিয়েছে, এদিনের ঘটনার মৌখিক অভিযোগ মিলেছে। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
সিপিএমের বারাবনির এরিয়া কমিটির সম্পাদক তপন দাস বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমি সহ আরও কয়েকজন বারাবনির বিডিও অফিসে গিয়েছিলাম টাকা জমা দিয়ে মনোনয়নের ডিসিআর বা ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিভ নেওয়ার জন্য। তার মধ্যে ৪ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ও ১১ জন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যর লড়াইয়ের প্রার্থীর ডিসিআর ছিল। ১৫ জনের ডিসিআর কাটিয়ে মনোনয়নপত্র তুলতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় দলের কর্মীদের কাছ থেকে ঐ ডিসিআরগুলি তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা ছিনিয়ে নেয় পুলিশের সামনেই। আমি নিজে বিষয়টি বিডিও এবং স্থানীয় থানার ওসিকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছি। কিন্তু তাতে কোন লাভ হয়নি। বিডিও অফিসের মধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিল আগে থেকেই তিনি অভিযোগ করেন।
এই ঘটনায় দুপুর একটা নাগাদ আসানসোলের আপকার গার্ডেনে দলীয় কার্যালয়ে বামফ্রন্টের ডাকা সাংবাদিক সম্মেলন চলাকালীন এই ঘটনার কথা জানতে পারেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা সিপিএমের সম্পাদক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ফোনে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস অরুণ প্রসাদকে বলার জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু জেলাশাসককে না পেয়ে তিনি জেলাশাসক কার্যালয়ের এক আধিকারিককে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে তিনি বলেন, আমাদের এটাই আশঙ্কা ছিল। জেলাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু তাকে পেলাম না ঘটনার কথা বলার জন্য।
যদিও তৃনমুল কংগ্রেসের বারাবনি ব্লকের সভাপতি অসিত সিং এই ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিরোধীদের বলছি সুস্থ রাজনীতি করুন। অপপ্রচার না করে নিয়ম মেনে মনোনয়ন পত্র জমা দিন।