কলকাতা: আগামী বছর দেশে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপিকে রুখতে বিরোধী ঐক্য গড়তে এবার কি কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমন জল্পনাই উস্কে দিলেন তিনি। সদ্য সমাপ্ত কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। কংগ্রেস যেখানে ১৩৬টি আসনে জয় পেয়েছে। সেখানে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৬৫টিতে। এতেই লোকসভা ভোটের আগে বাড়তি অক্সিজেন পাচ্ছে আঞ্চলিক দলগুলি। তাহলে কি শক্তিবুঝে প্রার্থী দিয়ে এবং একে অন্যকে সমর্থন করে লোকসভায় বিজেপিকে রুখে দেওয়া সম্ভব? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশের রাজনৈতিক মহলে।
কর্ণাটকে কংগ্রেসের বিজেপিকে রুখে দেওয়া ও হাতশিবিরকে সমর্থন প্রসঙ্গে এদিন মমতা বলেছেন, ‘আমি ম্যাজিশিয়ান বা জ্যোতিষি কোনওটিই নই। ভবিষ্যতে কী হবে তা আমি এখনই কিছু বলতে পারছি না। কিন্তু একটি বিষয় আমি বলব, যেখানে আঞ্চলিক দল শক্তিশালী সেখানে বিজেপি লড়াই করতে পারছে না। যেখানে মানুষ ভীষণভাবে হতাশ সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিচ্ছে। ঠিক যেমনটা হয়েছে কর্ণাটকে।’
তৃণমূল সুপ্রিমোর বক্তব্য, ‘দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে, গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে, কুস্তিগিরদেরও ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমি মনে করি, যে যেখানে শক্তিশালী তাদের উচিত একসঙ্গে লড়াই করা। বাংলায় যেমন আমরা লড়ব, দিল্লিতে তেমনই আপ লড়বে। বিহারে নীতিশ কুমার, তেজস্বী যাদব ও কংগ্রেস কৌশল ঠিক করবেন। তামিলনাড়ু, ঝাড়খণ্ড, ওডিশা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গনা, পঞ্জাব সহ অন্য রাজ্যগুলিতে যারা শক্তিশালী তাদের গুরুত্ব দিতে হবে।’
হাতশিবিরকে সমর্থন প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যে ২০০ বা তার বেশি আসনে কংগ্রেস শক্তিশালী, সেখানে তারা লড়াই করবে। আমরা তাদের সমর্থন করব। তবে সেই সঙ্গে তাদের অন্য রাজনৈতিক দলগুলিকেও সমর্থন করতে হবে। আমি আপনাদের কর্ণাটকে সমর্থন দিচ্ছি, আর এখানে আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিদিন লড়ছেন, এটা নীতি হতে পারে না। যদি আপনি ভালো কিছু চান, তাহলে আপনাকে কিছু ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। কংগ্রেস থাকলেও উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ যাদবকে প্রাধান্য দিতে হবে।’ যদিও তৃণমূলনেত্রী এটা জানিয়ে দিয়েছেন, এখনও সবকিছু চূড়ান্ত নয়। প্রাথমিক স্তরে আলোচনা চলছে।