রায়গঞ্জ: ২০১৮ সালের ১৫ মে পঞ্চায়েত ভোটের দিন শিক্ষক তথা ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের রক্তাক্ত দেহের স্মৃতি আজও তাড়া করে ভোটকর্মীদের। তাঁর হত্যার বিচারের দাবিতে আজও গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষ সরব। আজ ছিল ভোটকর্মী রাজকুমার রায়ের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এদিন রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চের সদস্যরা রায়গঞ্জ শহরের ঘড়ি মোড়ে প্রয়াত রাজকুমার রায়কে শ্রদ্ধা জানান। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ প্রয়াত শিক্ষকের প্রতিকৃতির সামনে সংগঠনের সদস্যরা মশাল জ্বালিয়ে ন্যায় বিচারের দাবিতে শপথ নেন। এরপর প্রয়াত শিক্ষককে শ্রদ্ধা জানান স্ত্রী অর্পিতা রায় সহ বিশিষ্টজনেরা।
রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ভট্টাচার্য বলেন, ‘আর কোনও ভোটকর্মীকে রাজকুমার হতে দিতে চাই না। তাই তাঁর এই মৃত্যু দিনটি এবছর আমরা ভোটদাতা-ভোটকর্মী সংহতি দিবস হিসেবে পালন করছি। এদিন বাম-ডান বিভিন্ন শিক্ষক ও সরকারী কর্মচারী সংগঠনের সদস্যরা কর্মসূচিতে অংশ নেন। ২০১৮ সালের ওই দিনের কথা আজও আমরা ভুলতে পারিনি। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসন্ন, তাই আমরা এবার প্রথম থেকে সজাগ। চাই না রাজকুমার রায়ের মতো আর কেউ অকালে চলে যাক।‘
উল্লেখ্য, রহতপুর হাই মাদ্রাসার ইংরেজি শিক্ষক রাজকুমারবাবু গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ইটাহারে একটি বুথে প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে ছিলেন। সেদিন সন্ধ্যায় রাজকুমার বাবু রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যান। পরদিন সন্ধ্যায় রায়গঞ্জের সোনাডাঙ্গি এলাকায় রেল লাইনের উপর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। রাজকুমারবাবুকে খুন করা হয়েছে বলে তাঁর স্ত্রী অর্পিতা দেবী অভিযোগ করেছিলেন। পরবর্তীতে রাজকুমারবাবুর মা অন্নদা রায় ছেলের মৃত্যুর সিবিআইয়ের তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। যদিও এই মামলা এখনও চলছে। এদিন রাজকুমার রায় হত্যার বিচার চাই মঞ্চের সদস্যরা শিক্ষক রাজকুমার রায়ের হত্যার প্রকৃত তদন্ত অবিলম্বে শেষ করার দাবি জানান।