শিলিগুড়ি: গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের জেরে ছাত্রীকে যৌন নিগ্রহে অভিযুক্ত বটানির বিভাগীয় প্রধান জ্ঞানবিকাশ ভাণ্ডারীকে সাসপেন্ড করল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ওই ছাত্রী জুনিয়ার রিসার্চ ফেলো হিসাবে জ্ঞানবিকাশের অধীনে গবেষণা করছেন। গবেষণার সুপারভাইজার হওয়ার সুযোগে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ওই শিক্ষক তাঁকে যৌন নিগ্রহ করেছেন বলে অভিযোগ ওই ছাত্রীর। সোমবার রাতে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ জমা করেন তিনি। ঘটনাটি উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হতেই ওঠে প্রতিবাদের ঝড়। যৌন নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে তোলপাড় পড়ে যায় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বটানির বিভাগীয় প্রধান জ্ঞানবিকাশ ভাণ্ডারীর শাস্তির দাবিতে বুধবার রেজিস্ট্রারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান গবেষক ও ছাত্রছাত্রীরা। ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ মিছিলও বের করা হয়। ক্লাস বয়কট করে প্রতিবাদে শামিল হন তাঁরা।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জরুরি মিটিং ডাকা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বপনকুমার রক্ষিত জানান, মিটিংয়ে নেওয়া সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরানো হয়েছে। তাঁর জায়গায় অধ্যাপক সুভাষচন্দ্র রায়কে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিও ওই বিভাগের অধ্যাপক। অভিযুক্তকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে, ছাত্রীকে বলা হয়েছে, নিজের পছন্দ মতো থিসিস গাইড বেছে নিতে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে খুশি নন আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা চাইছেন, অভিযুক্তকে সাসপেন্ড করা হোক। যতক্ষণ না তাঁকে সাসপেন্ড করা হচ্ছে, ততক্ষণ এই আন্দোলন চলবে বলে প্রতিবাদীদের পক্ষে সলমন হায়দার জানিয়েছেন।