আসানসোল: আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। ইতিমধ্যে আসানসোল, বার্নপুর ও জামুড়িয়ায় গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ৫০ জনের বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত ভর্তি রয়েছেন। সবমিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০-এরও বেশি বলে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকাতেও ডেঙ্গি আক্রান্তর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এমন অবস্থায় গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার আসানসোল পুরনিগমে দু’দফায় জরুরি বৈঠক হয়। রাজ্যের নগরোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব জলি চৌধুরীর উপস্থিতিতে এই বৈঠক হয়। আলোচনার ভিত্তিতে একটি পরিকল্পনা তৈরি করে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ১৩টি ওয়ার্ডকে সংবেদনশীল বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। বৈঠকে মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন, ‘পুরনিগম ডেঙ্গি পরিস্থিতির ওপর কড়া নজরদারি চালাচ্ছে।’ এবিষয়ে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক জানান, ডেঙ্গি নিয়ে গতকাল গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় যা করণীয় করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে পুর এলাকায় যেসব বাড়ি বন্ধ রয়েছে পুলিশের সহায়তায় সেগুলির তালা ভেঙে নির্মল সাথী ও নির্মল বন্ধুর সহায়তায় পরিষ্কার করা হবে।
বৈঠকে মেয়র ও ডেপুটি মেয়র ছাড়াও অন্যদের মধ্যে ছিলেন মেয়র পারিষদ গুরুদাস ওরফে রকেট চট্টোপাধ্যায়, সুব্রত অধিকারী, দুর্গাপুর পুরনিগমের পুর প্রশাসক বোর্ডের প্রতিনিধি ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। বৈঠকে রাজ্য নগরোন্নয়ন দপ্তরের অতিরিক্ত সচিব, আসানসোল পুরনিগম ও দুর্গাপুর পুরনিগমের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে যৌথভাবে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুর এলাকার একটা বিরাট অংশ রেল, ইস্কো ও ইসিএলের রয়েছে। তাদেরও চিঠি দিয়ে সবকিছু জানানো হবে। যাতে তারা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে।