হলদিবাড়ি: ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল হলদিবাড়ি ব্লকের হেমকুমারি গ্রাম পঞ্চায়েত চত্বর। বিরোধীদের গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে ঢুকতে বাধা দিয়ে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি পঞ্চায়েত দপ্তর ও বিরোধীদের গাড়িও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা রীতিমতো লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ চালায় বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এতেই উত্তাল হয়ে ওঠে গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তর। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা, মেখলিগঞ্জের এসডিপিও অরিজিৎ পাল চৌধুরী, হলদিবাড়ি থানার আইসি ডিজি ভুটিয়ার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী।
যদিও হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে শাসক শিবির। তবে শেষ পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করেছে তৃণমূলই। গোপন ভোটের মাধ্যমে প্রধান প্রধান নির্বাচিত হন তুলি খাতুন এবং উপপ্রধান হন জাতীয় কংগ্রেসের সাবিনা পারভিন। নব নির্বাচিত উপপ্রধান সাবিনা পারভিনের অভিযোগ, গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে ঢুকতে গেলে তাকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা মাটিতে ফেলে মারধর করে। এতে তিনি গুরুতরভাবে আহত হন তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। বর্তমানে তিনি মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।