হরিশ্চন্দ্রপুর: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকাজুড়ে বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকা উন্নয়নের দাবিতে বিক্ষোভে শামিল স্থানীয় বাসিন্দারা। সোমবার সকাল থেকেই গ্রামের রাস্তা, পরিশ্রুত পানীয় জল এবং উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র নির্মাণে দাবিতে চাঁচল হরিশ্চন্দ্রপুর ৮১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে গ্রামবাসীরা। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে নো রোড নো ভোট লেখা পোস্টার হাতে জাতীয় সড়কে বসে পড়লেন গ্রামবাসীরা। এলাকার উন্নয়ন না হলে ভোট প্রচারে জনপ্রতিনিধিদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন এলাকার বাসিন্দারা। এদিন অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। খবর পেয়ে এলাকায় যান প্রশাসনের প্রতিনিধিরা এবং হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তাদের আশ্বাস পেয়ে অবশেষে পথ অবরোধ তুলে নেন গ্রামবাসী। তবে অবিলম্বে এলাকার সমস্যা গুলির সমাধান না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, তুলসীহাটা, ভিঙ্গোল, ওরশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভিন্ন গ্ৰামে প্রায় ১৫ কিলোমিটার রাস্তা এক দশক ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয় নেতা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক দপ্তরে বারবার দাবি জানিয়েও কাজ হয়নি। এই বেহাল রাস্তাগুলোর জন্য সমস্যায় পড়েন নিত্য যাত্রী থেকে শুরু করে পড়ুয়ারা। লক্ষণপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে পাড়ো ক্লাব পর্যন্ত ২কিলোমিটার রাস্তা, আবার লক্ষণপুর প্রাইমারী স্কুল থেকে কোনার মীর সারজেন গোডাউন পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা,ঝিকোডাঙ্গা জাম গাছ মোড় থেকে ঝিকোডাঙ্গা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার পর্যন্ত ২ কিলোমিটার রাস্তা সহ একাধিক রাস্তা কঙ্কালসার অবস্থায় পড়ে আছে। বর্ষার সময় ওই রাস্তাগুলো দিয়ে চলাচল করতে চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় বাসিন্দাদের।
অন্যদিকে, তিন মাস ধরে লক্ষণপুর, বড়োল,মুড়াগাছি ও রহমতপুর সহ একাধিক গ্রামে দেখা দিয়েছে জল সংকট। গ্রামে গ্রামে পিএইচই-র পাইপ গেলেও নিয়মিতভাবে জল সরবরাহ হয় না। বিভিন্ন গ্ৰামে পিএইচই-র পাইপ ফুটো হয়ে যাওয়ার কারণে জল ট্যাপকল পর্যন্ত পৌঁছোয় না। রাস্তায় ফুটো পাইপের নোংরা জল পান করতে হয় গ্রামবাসীদের। পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাস্তা সংস্কার ও পানীয় জলের সমাধান না হলে ভোট বয়কট করবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন এলাকাবাসী।
ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত এর কংগ্রেসী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিমান বিহারী বসাক জানান, পঞ্চায়েতের তরফ থেকে যে সমস্ত কাজ করা সম্ভব হয়েছে সেগুলো কাজ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার অনেক প্রকল্পের টাকা আটকে দিয়েছে। তাই পঞ্চায়েত নিজের ফার্ম থেকে এলাকার পানীয় জল পরিষেবা এবং কিছু রাস্তার কাজ করেছে। এলাকায় আরও অনেক কাজ বাকি আছে তিনি এই বিষয়ে এলাকার বিধায়ককে জানিয়েছেন কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সদুত্তর পাননি। এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী তজমুল হোসে বলেন, এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ ঠিক নয়। তার এলাকায় অনেক কাজ হয়েছে এবং আগামীতেও হবে। ওখানে কংগ্রেস পঞ্চায়েত রয়েছে তারাই ঠিক মতো কাজ করছে না।