রায়গঞ্জঃ ১৩ দিনের নবজাতক কন্যা সন্তানকে নিয়ে আদালতে হাজির হলেন কুমারী মা। এদিন বিকেলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ জেলা আদালত ক্যাম্পাসে। বিচারকের সামনেই ধর্ষক কে চিনিয়ে দিলেন মূক ও বধির এই যুবতী। বুধবার বিকেলে মূল অভিযুক্তকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতের নাম চানুয়া শেখ ওরফে চানু রায়গঞ্জ থানার সুভাষগঞ্জ সংলগ্ন ভিটিহার গ্রামের বাসিন্দা। ধৃতের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়সি এক মহিলা শারীরিক অসুস্থতার কারণে গিয়েছিলেন চিকিৎসকের কাছে। সেখানে চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে জানান মহিলা ৬ মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। বিষয়টি জানার পরই মাথায় আকাশ ভেঙে পরে যুবতীর বাবার। এরপর রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সমস্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত চানুয়া শেখ ওরফে চান মহম্মদের বিরুদ্ধে চলতি বছরের ২৭ অগাস্ট রায়গঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতার পরিবার। অভিযোগ দায়ের হতেই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত চানুয়া শেখ। গত ১৬ নভেম্বর ওই যুবতী রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে একটি কন্যা সন্তান প্রসব করেন। যার বয়স বর্তমানে ১৩ দিন। অভিযুক্ত চানুয়া শেখ ওরফে চান মহন্মদকে বুধবার সকালে গ্রেপ্তার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্যাতিতা যুবতীর সম্পর্কে জেঠু হয়। এদিনই ধৃতকে আদালতে পেশ করে পুলিশ।
এদিকে গ্রেপ্তারের খবর চাউর হতেই ১৩ দিনের কন্যা সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন ওই কুমারী মা। বিচারকের সামনেই ধর্ষককে চিনিয়ে দেন তিনি। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের বিশিষ্ট আইনজীবী অলোক ঝাঁ বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কুমারী মায়ের জেঠু। এদিন আদালতে বিচারকের সামনে অভিযুক্ত ধর্ষককে চিনিয়ে দিয়েছেন যুবতী। রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীলাদ্রি সরকার বলেন, এদিন ধৃতকে রায়গঞ্জ মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হলে বিচারক জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।