কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও রাজভবনে পালিত হচ্ছে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। মঙ্গলবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের উপস্থিতিতে এনসিসির প্রতিনিধিরা প্যারেড করে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পশ্চিমবঙ্গ দিবসে এদিন শান্তির বার্তা শোনা যায় রাজ্যপালের মুখে। এরপর স্কুল পড়ুয়াদের নিয়ে শুরু হয় বসে আঁকো প্রতিযোগিতা। পশ্চিমবঙ্গ দিবসের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। তাঁর বার্তা, পশ্চিমবঙ্গ শিল্প, সংস্কৃতি, আধ্যাত্মিকতা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমন্বয়ে ভারতের অনন্য গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিভাবান ব্যক্তিরা জাতির অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে অবদান রেখে উদ্ভাবন এবং অর্থনৈতিক প্রাণবন্ততার আরেকটি তরঙ্গ আনতে পারে।
এদিকে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন না করতে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেছিলেন, কীভাবে রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়েছে তাতে তিনি স্তম্ভিত। ইতিহাস এরকম কোনও দিনকে সমর্থন করে না। রাজভবনে যেন পশ্চিমবঙ্গ দিবস বলে কোনও আলাদা দিন উদযাপিত না হয়। রাজ্যপালের বক্তব্য, রাষ্ট্রপতির নির্দেশে তিনি রাজভবনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছেন। এদিকে এনিয়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সমস্ত রাজ্য তৈরি হওয়ার একটা দিন আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিহাসকে ঘেঁটে দিতে চাইছেন।’ যদিও পালটা কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, রাজ্যপাল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবনা থেকে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের চেষ্টা করছেন, তা পশ্চিমবঙ্গের ইতিহাসকে বিকৃত করা।