উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আসন্ন মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। পদ্ম শিবিরের পাখির চোখ বিধানসভায় মধ্যপ্রদেশের মসনদ দখল। তাঁর জন্য আসরে নামলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার মধ্যপ্রদেশের ভোপালে নির্বাচনী প্রচারে এসে কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে মোদি বলেন, ‘কংগ্রস সরকার ক্ষমতায় আসলে মধ্যপ্রদেশকে আবার অসুস্থ করে দেবে। যে যে রাজ্যে কংগ্রেসের শাসন চলছে সেই রাজ্যগুলিকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে।’
এদিন ভোপালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের ভাষণে বলেন, ‘৩০ বছর ধরে মধ্যপ্রদেশে শাসন চালাচ্ছে বিজেপি। কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকাকালীন যে দুর্দিনের মুখোমুখি হয়েছিলেন মানুষ তা এখন অতীত। আর মধ্যপ্রদেশকে অসুস্থ করে দেওয়ার পিছনে দায়ী কংগ্রেস। আমরাই আবার সুস্থ করে তুলেছি।’
মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মোদি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস না বুঝলেও আমরা মা-বোনেরা এই রাজনীতি সম্পর্কে সচেতন। কথা রাখে মোদি সরকার। মধ্যপ্রদেশে এসে আমি এখানকার প্রত্যেক মহিলাকে মনে করিয়ে দিতে চাই মোদি সরকার যে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করাবে বলেছিল সেই কথাও রেখেছে।’
কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী সুর চড়িয়ে বলেন, ‘গণতন্ত্রকে নিজেদের পরিবারের মধ্যে বেঁধে ফেলেছিল কংগ্রস। দেশকে গরিবির দিকে ঠেলে দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস কখনই চায়নি দেশের অবস্থার পরিবর্তন হোক। সবসময়ই ভালো কাজের খুঁত ধরেছে কংগ্রেস। ইউপিএর সমলোচনা করেছে। আর বর্তমান সময়ে আমরা দেখতে পাচ্ছি কত সহজে আর্থিক লেনদেন সম্ভব হচ্ছে ইউপিআইয়ের মাধ্যমে।’
প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসকে আরও কটাক্ষের সুরে বলেন, ‘৫০ বছর আগে গরিবি হাটাও স্লোগান দিয়েছিল কংগ্রেস। সত্যি কি তা বাস্তবে করছে। ১৩.৫ কোটি মানুষের গরিবি ঘুচিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অর্থই খারাপ শাসন ও কুনীতি। যে যে রাজ্যগুলিতেই কংগ্রেস শাসন করেছে সেগুলিকে দুর্নীতির আঁতুরঘরে পরিণত করেছে।’
উল্লেখ্য, গত ছয় মাসে এই নিয়ে সপ্তমবার মধ্যপ্রদেশ সফরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মধ্যপ্রদেশে সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন পদ্ম শিবিরের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।