হিলি: জবরদখল করে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর অভিযোগ উঠল সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বিরুদ্ধে। সোমবার এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় হিলি থানার চোদ্দহাত কালী মাতার মন্দির এলাকায়। ঘটনার প্রতিবাদে গ্রামবাসীরা ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করতেই পিছু হটতে বাধ্য হয় জওয়ানেরা। কাঁটাতারের বেড়া বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ চরমে পৌঁছোয়। যদিও জনতার চাপের মুখে পড়ে কাঁটাতারে বেড়া বসানো ভণ্ডুল হয়ে যায়। এনিয়ে সীমান্তবর্তী মানুষ সরব হলেও মুখ খুলতে নারাজ বিএসএফ।
হিলি থানার পশ্চিম আপ্তৈর গ্রামে সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রতিষ্ঠিত চোদ্দহাত কালী মাতার মেলার মাঠ। ওই মাঠে প্রতিবছর কালী মায়ের মেলার সময় বিশাল মেলা বসে। স্থানীয়দের অভিযোগ, রবিবার থেকে ওই মাঠে ঢোকার রাস্তায় কাঁটাতারে বেড়া বসানোর কাজ শুরু করেছে বিএসএফ। ৬১ নম্বর ব্যাটালিয়ন বিএসএফের তরফে ওই এলাকাকে ঘেরার কাজ শুরু করা হয়েছিল। বিষয়টি মানুষের নজরে আসতেই এদিন সমবেত হয়ে মেলার মাঠ জবরদখল করে কাঁটাতারের বেড়া বসানোর বিরোধিতা শুরু করেন। বিএসএফের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ায় মানুষজন। ক্রমেই পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে ওঠে। বিক্ষুদ্ধ মানুষে চাপে পড়ে কাঁটাতারের বেড়া বসানো বন্ধ করে বিএসএফ। তারপরেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরবর্তীতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হিলি থানার পুলিশ।
এপ্রসঙ্গে বিক্ষুদ্ধ স্থানীয় বাসিন্দা অমিত মহন্ত বলেন, ‘আমাদের মেলার মাঠ জবরদখল করে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া বসাতে শুরু করেছে। সীমান্ত থেকে ৫০০ মিটার আগেই কাঁটাতারের বেড়া বসাচ্ছে। অনৈতিকভাবে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া বসিয়ে মানুষকে হেনস্তা করার চক্রান্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এইভাবে মানুষের সমস্যা তৈরি করতে কাঁটাতারের বেড়া বসানো অনুচিত।‘
হিলি পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মিহির সরকার বলেন, ‘বিএসএফ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাধারণ মানুষকে হেনস্তা করতেই মেলার মাঠ জবরদখল করে কাঁটাতারের বেড়া বসাচ্ছিল। মানুষ আন্দোলন করে তা রুখে দিয়েছে। ওই এলাকায় কোনও অবৈধ ব্যবসা নেই। সীমান্ত ছেড়ে গ্রামের মধ্যে মাঠ দখল করে কাঁটাতার বসানো অযৌক্তিক। এছাড়াও সীমান্তের মানুষের ওপর বিএসএফ নির্যাতন চালাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিও সঙ্গে আলোচনা করে কড়া পদক্ষেপ করব।‘
এপ্রসঙ্গে বিএসএফের কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।