গঙ্গারামপুর: প্রেমিকার বয়স অল্প। স্বাভাবিক বিয়ের সম্বন্ধ মেনে নেয়নি পরিবার। দুই পরিবার আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়, মেয়ের বয়স ১৮ বছর হলে প্রেমিকের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু এরই মধ্যে আচমকা অস্বাভাবিক মৃত্যু হল প্রেমিকের। গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সোমবার সকালে শোবার ঘরে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত প্রেমিকের নাম মোহন সূত্রধর(২২)।
গঙ্গারামপুর থানার কাদিঘাট কদমতলার যুবক মোহন সূত্রধর। সদ্য লেখাপড়া ছেড়ে কাঠমিস্ত্রির কাজে যোগ দিয়েছিল। গত দু’বছর আগে মোহনের সঙ্গে এক ১৫ বছর বয়সি নাবালিকার মেয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে তাদের প্রেমের বিষয়টি জানতে পারে দুই পরিবার। এনিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা হয়। কিন্তু প্রেমিকা নাবালিকা হওয়ায় পরিবারের লোকজন বিয়ে দিতে নারাজ। দুই পক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, পাত্রীর বয়স ১৮ বছর হলেই সামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হবে।
এপর্যন্ত সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু প্রেমিকাকে ছাড়া দুশ্চিন্তায় পড়েন প্রেমিক। প্রতিদিনের মতো রবিবার রাতে মোহন খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায়। সকালে অনেকটা বেলা হলেও ঘুম থেকে না ওঠায় পরিবারের লোকজন ডাকাডাকি শুরু করেন। কিন্তু কোনও উত্তর না মেলায় পরিবারের লোকজন দরজা ভাঙলে ঘরের ভেতর যুবকের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে জানিয়ে দেন। গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।