ঘোকসাডাঙ্গা ও মাথাভাঙ্গা: ১৯ বছরের যুবকের সঙ্গে বিয়ের জেরে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ল ১৪ বছরের নাবালিকা। শেষ পর্যন্ত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতেই প্রকাশ্যে আসে এই ঘটনা। ওই চিকিৎসক পুলিশকে খবর দিলে গ্রেপ্তার করা হয় যুবককে। মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘটনা। পুলিশ, প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের নজর এড়িয়ে কীভাবে যুবকের সঙ্গে নাবালিকার বিয়ে হল, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বর্তমানে ওই নাবালিকা মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত চলছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে মাথাভাঙ্গা ২ ব্লকের ঘোকসাডাঙ্গা থানা এলাকার ১৪ বছরের ওই নাবালিকা শারীরিক অসুস্থতার কারণে মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালের একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞকে দেখাতে গিয়েছিল। সেখানে পরীক্ষার পর চিকিৎসক দেখেন, নাবালিকা ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। চিকিৎসকই বিষয়টি পুলিশে খবর দেন। এবিষয়ে মাথাভাঙ্গা থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ বিষয়টি ঘোকসাডাঙ্গা থানাকে জানায়। ঘোকসাডাঙ্গা পুলিশ তদন্তে নেমে সোমবার ওই নাবালিকার স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে।
ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই পুলিশ, প্রশাসন ও চাইল্ড লাইনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে নাবালিকার বিয়ে হল? এটা চাইল্ড লাইনের ব্যর্থতা, নাকি দুই পরিবার প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে গোপনে নাবালিকার বিয়ে দিয়েছিল? সেই সমস্ত প্রশ্ন উঠছে। এবিষয়ে চাইল্ড লাইনের সদস্য কৃষ্ণচন্দ্র বর্মনের সঙ্গে যোগযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
তবে মাথাভাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অমিত ভার্মা জানান, পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সোমবার ধৃতকে মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলা হয়েছে। আদালত সূত্রের খবর, ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।