উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনায় মোদি সরকারকে চাপে ফেলে দিয়েছে ইন্ডিয়া মহাজোট। সংসদের ভিতরে–বাইরে মহাজোটের সাঁড়াশি আন্দোলনে চাপে ফেলে দিয়েছে কেন্দ্রকে। সংসদে আসছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই পরিস্থিতিতে ইন্ডিয়া টিমের সাংসদরা দু’দিনের জন্য যাচ্ছেন মণিপুর সফরে। এতে আরও চাপ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের। মণিপুরে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ এবং বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় বিপাকে পড়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
মণিপুরের বর্বরোচিত ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। মণিপুর ইস্যুতে বিজেপি সরকারের ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করতে মণিপুর সফরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইন্ডিয়া মহাজোটের নেতারা। তার জন্য ২০ জনের তালিকা তৈরি হয়েছে। সেখানে সব দলের প্রতিনিধি রয়েছেন। সেখানে গিয়ে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে একটি রিপোর্ট তৈরি করবেন। তাঁর ভিত্তিতেই শুরু হবে আন্দোলনের নতুন রূপরেখা। এই মণিপুর সফর নিয়ে কংগ্রেস নেতা মানিকরাম টেগোর জানান, শনিবার এবং রবিবার মণিপুর সফর করবেন ইন্ডিয়া জোটের প্রতিনিধিরা। এতে আরও চাপ বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ যদি কোনও একটি দল যেত তাহলে তাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলা যেত। কিন্তু যেহেতু এখানে দেশের সব বিরোধী দলের নেতা–নেত্রী মিলে ২০ জন যাচ্ছেন তাতে এই তকমা দেওয়া যাবে না।
কারা রয়েছেন এই প্রতিনিধিদলে? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেবের নেতৃত্বে এই প্রতিনিধিদল যাচ্ছে মণিপুর। যাচ্ছেন অধীররঞ্জন চৌধুরী, গৌরব গগৈ, রাজীব রঞ্জন, কানিমোঝি, সন্তোষ কুমার, এএ রহিম, সুশীল গুপ্তা, অরবিন্দ সাওয়ান্ত–সহ ২০ জনের টিম। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের পাঁচজন সাংসদের প্রতিনিধিদল সেখানে ঘুরে এসেছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘এই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা মণিপুরে পাহাড় এবং উপত্যকা দুই এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও দেখা করবেন ও কথা বলবেন।’ ইতিমধ্যেই মণিপুরে ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে কালো পোশাক গায়ে সংসদে আসেন বিরোধীরা। আর মণিপুর রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকায় ক্ষোভ উগড়ে দল ছাড়লেন বিহার বিজেপির মুখপাত্র বিনোদ শর্মা।
সোমবার মণিপুর ধর্ষণকাণ্ডে সপ্তম অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে মণিপুর পুলিশ। অভিযোগ, ওই দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানোর ঘটনায় যুক্ত ছিল এই ব্যক্তি। এই গোটা ঘটনার তদন্তভার সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক বলে সংবাদসংস্থা।