হরিশ্চন্দ্রপুর: ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরিতে যোগদানের অভিযোগে গ্রেপ্তার প্রাথমিক শিক্ষিকা। তাঁকে শনিবার গ্রেপ্তার করেছে মানিকচক থানা। তাঁকে এদিন মালদা জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রাথমিক শিক্ষিকার নাম চাপা মণ্ডল। মানিকচকের হাড্ডাটোলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কোরিয়ালি সার্কলের বর্ণাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। দেড় বছর তিনি শিক্ষকতা করেছেন। পরে তপশিলি জাতির ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় আদালতের নির্দেশ অনুসারে মালদা সদরের মহকুমা শাসক শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখেন, সেটা জাল। এরপর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। মানিকচক থানা তদন্তে নেমে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এপ্রসঙ্গে বর্ণাহি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শশাঙ্ক মণ্ডল বলেন, ‘ওঁর শংসাপত্র ভুয়ো কিনা আমার জানা নেই। আমাকে জয়েন করাতে বলা হয়েছিল, আমি সরকারি নির্দেশিকা মেনে জয়েন করাই। ওঁর সমস্ত নথিপত্র ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছি। এর বেশি কিছু আমি জানি না।’
এবিষয়ে মালদা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান বাসন্তী বর্মন বলেন, ‘ঘটনার কথা শুনেছি। আদালতের নির্দেশ এবং অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা শাসক ওই শিক্ষিকার জাতিগত শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখেছেন, সেটা জাল। তারপরই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’