উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ জন্ম এবং মৃত্যুর নথিভুক্তকরণের বিষয়টি বর্তমানে রাজ্যের হাতে আছে। এবার সেই আইনে সংশোধন ঘটিয়ে কেন্দ্র সেই তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে আগ্রোহী। এই মর্মে নয়া বিল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থেই এমন চিন্তা-ভাবনা বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই আইন বলবৎ হলে ভোটার তালিকায় থাকবে জন্ম-মৃত্যু সংক্রান্ত নথিও। এতে নাগরিকদের নাম আপনাআপনিই ভোটার তালিকায় নথিভুক্ত হবে এবং তা বাদও দিতেও সুবিধা হবে বলে মত তাঁর।
সোমবার রেজিস্ট্রার জেনারেল এবং সেনসাস কমিশন অফ ইন্ডিয়ার ‘জনগণ ভবনে’র উদ্বোধন করতে গিয়ে এই নয়া বিলের কথা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন শাহ বলেন, “ভোটার তালিকায় জন্মমৃত্যুর তথ্য উল্লেখ রাখতে সংসদে নয়া বিল আনা হবে। এর আওতায়, ১৮ বছর বয়সে পা দিলে, আপনা আপনিই, সেই নাগরিকের নাম ভোটার তালিকায় উঠে যাবে। একই ভাবে, কেউ মারা গেলে, সেই তথ্যও পৌঁছে যাবে ইলেকশন কমিশনের হাতে। সেই মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে নাম।” ডিজিটাল মাধ্যমে এই কাজ সম্পূর্ণ করার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শাহ।
দিল্লির একটি সূত্র জানাচ্ছে, এই বিল আনতে হলে ১৯৬৯ সালের রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথ আইনে সংশোধন ঘটানো জরুরী। এবার সেই আইন সংশোধন করে নতুন বিল আসলে ড্রাইভিং লাইসেন্স, পাসপোর্ট তৈরির কাজও সহজ হবে, আবার সহজে সরকারের কল্যাণমূলক প্রকল্পগুলির সঙ্গে যুক্ত করা যাবে সাধারণ মানুষকে। শাহের কথায়, “বিশেষ পদ্ধতিতে যদি জন্মমৃত্যুর শংসাপত্র সংরক্ষণ করা যায়, সে ক্ষেত্রে জনগণনা এবং উন্নয়নমূলক নীতি নির্ধারণের কাজও সঠিক ভাবে সম্পাদিত হবে।” এই তথ্য কেন্দ্রের হাতে মজুত না থাকাতেই, এত দিন উন্নয়নের গতি শ্লথ ছিল বলেও দাবি করেন শাহ।