কোচবিহার: টাকার অভাবে কালিয়াগঞ্জের এক মৃত শিশুকে ব্যাগে ভরে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে বাসে চাপিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় গোটা রাজ্য তোলপাড়। খোদ মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। কোচবিহারে যাতে এধরণের কোনও ঘটনা না ঘটে সেজন্য সতর্ক হচ্ছে প্রশাসন। শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, অ্যাম্বুল্যান্স চালকদের সংগঠন, পুলিশ, আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে বৈঠক হয় সদর মহকুমা শাসকের দপ্তরে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তরের আধিকারিকের মাধ্যমে সমস্ত রুটের অ্যাম্বুল্যান্সের ভাড়া নির্ধারণ করা হবে। সাতদিনের মধ্যে সেই রেট চার্ট হাসপাতাল, নার্সিংহোমে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। কোনও অ্যাম্বুল্যান্স চালকই নির্ধারিত ভাড়ার থেকে বেশি নিতে পারবে না। সদর মহকুমা শাসক রাকিবুর রহমান জানান, অ্যাম্বুল্যান্সে রোগী বা মৃতদেহ যাতায়াত নিয়ে কোথাও যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য ভাড়া নির্দিষ্ট করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, কোচবিহার থেকে শিলিগুড়িতে রোগী নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সাধারণ অ্যাম্বুল্যান্সে সাড়ে চার হাজার ও অক্সিজেন বা এসি থাকলে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। এমজেএন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে এই শহরেরই কোনও নার্সিংহোমে রোগী নিয়ে যাওয়ার জন্য ৪০০-৫০০ টাকা নেওয়া হয়। মৃতদেহ প্রথমে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া ও সেখান থেকে বাড়ি হয়ে শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার জন্য ১৫০০-২০০০ টাকা ও ময়নাতদন্ত ছাড়া সরাসরি বাড়ি হয়ে শ্মশানে গেলে ১০০০ টাকা নেওয়া হয়। তবে চালকরা এই দাবি করলেও মাঝেমধ্যেই এর থেকে বেশি টাকা চাওয়ার অভিযোগ ওঠে চালকদের একাংশের বিরুদ্ধে।