বর্ধমান: সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে বিজেপির বর্ধমান পুলিশ সুপার অফিস অভিযান নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে বর্ধমানে। বৃহস্পতিবার অভিযানে অংশ নেওয়া বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তির সময় একজন পুলিশ কর্মী ও একজন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। শেষে জল কামান ব্যবহার করে করে পুলিশ বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
সন্দেশখালি সহ পশ্চিমবঙ্গে নৈরাজ্য সৃষ্টি ও আইনশৃঙ্খলা অবনতির প্রতিবাদে এদিন রাজ্য বিজেপির তরফে জেলায় জেলায় পুলিশ সুপার অফিস ঘেরাও অভিযানের ডাক দেয়। সেই মত এদিন বেলা ১২টার আগে বর্ধমানের টাউন হল থেকে বিজেপির মিছিল শুরু করে। মিছিল পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে যাওয়ার আগেই জিটি রোডে কার্জনগেট চত্বরে পুলিশ বাধা দেয়। তখনই মিছিলে থাকা বিছেপি নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের একপ্রস্ত ধস্তাধস্তি হয়। বিজেপি কর্মী সমর্থক পর পর দুটি ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে পুলিশ সুপারের অফিসের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ বর্ধমান কোর্টকম্পাউন্ডের রাস্তায় নেতাজি স্ট্যাচুর সামনে পুনরায় ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকে দেয়। এরপর জেলা বিজেপি সভাপতি অভিজিৎ তা ও পশ্চিম বর্ধমানের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুইয়ের নেতৃত্বে থাকা বিজেপি কর্মী-সমর্থক রাস্তায় বসে পড়ে। শুরু হয় অবস্থান বিক্ষোভ। তারই মধ্যে ফের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করলে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে।
জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ব্যারিকেডে মিছিল আটকে গেলে ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। তাতে ট্রাফিকে কর্মরত দু’জন সিভিক ভলান্টিয়ার জখম হয়েছে। জখম সিভিক ভলান্টিয়ারের মধ্যে একজনের নাম রঞ্জিত মালিক। যদিও দুর্গাপুর পশ্চিমের বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, পুলিশ বিনা কারণে জলকামান দিয়ে আমাদের কর্মী-সমর্থকের আক্রমণ করে। মমতার পুলিশ এর থেকে আর তো কোনও ভালো কিছু জানে না। চোর, তোলাবাজ তৃণমূল নেতারা দিব্যি অন্যায় করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ শেখ সাহাজানদের ধরতে পারছে না।