উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রিকেটার-রাজনীতিবিদ গৌতম গম্ভীরকে নিজের ‘চামড়া মোটা’ করার পরামর্শ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সম্প্রতি পাঞ্জাব কেশরী সংবাদপত্রে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্টে ওই সংবাদপত্রের বিরুদ্ধে ২ কোটি টাকা মানহানির মামলা করেন গৌতম গম্ভীর। যার শুনানিতে ওই সংবাদপত্রের সম্পাদক সহ সাংবাদিকদের নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থনার পাশাপাশি আগামীতে এই ধরনের খবর প্রকাশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞারও দাবি জানিয়েছিলেন গম্ভীরের আইনজীবী জয় দেহাদ্রি। কিন্তু বিচারক চন্দ্রধরি সিং এই ধরনের কোনও অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দিতে চাননি। বরং অভিযুক্তপক্ষকে নোটিশ জারি করে উত্তর দিতে বলেছেন তিনি। আগামী অক্টোবরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
গম্ভীরের আইনজীবীর অভিযোগ, ২০২২ সালে মে মাস থেকে প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে তাঁর মক্কেলের চরিত্রহনন করা হয়েছে। তাঁকে একজন জাতিবাদি, উন্নাসিক ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরে ব্রহ্মাসুরের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। গম্ভীর তাঁর আবেদনে জানান, পত্রিকার অনলাইন এডিশনে সর্বত্র তাঁর বিরুদ্ধে প্রকাশিত প্রতিবেদন তুলে নিতে হবে। পাশাপাশি আগামীতে এই ধরনের ‘মানহানিকর’ প্রতিবেদন প্রকাশে নিষেধাজ্ঞারও দাবি জানান গম্ভীর।
শুনানিতে বিচারপতি জানান, জনপ্রতিনিধি রাজনীতিকদের এতটা স্পর্শকাতর হওয়াটা কাম্য নয়। এমনকি বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিচারপতিদেরও এটা মাথায় রাখতে হয়। তবে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, গম্ভীরকে নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কিছু শব্দের ব্যবহার সংবাদপত্রের জন্য যথাযথ নয়। যদিও অভিযুক্ত সংবাদমাধ্যমের আইনজীবী রাজশেখর রাও বলেন, ‘কোনও লেখা গৌতম গম্ভীরের ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ হতেই পারে, তাহলে কি যতক্ষণ না গম্ভীরের পছন্দ হচ্ছে ততক্ষণ কোনও প্রতিবেদনই প্রকাশ করা যাবে না?’ উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগদান করেন গৌতম গম্ভীর। পূর্ব দিল্লি থেকে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে সাংসদ পদে জিতেও যান তিনি।