সাগর বাগচী, শিলিগুড়ি: বাস থেকে নেমে শিলিগুড়ি (Siliguri) শহরে পদযাত্রা করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি (Rahul Gandhi)। ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ (Bharat Jodo Nyay Yatra) নিয়ে জলপাই মোড় থেকে সেবক মোড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার রাস্তা তিনি হেঁটে এগোবেন। ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দুপুরে থানা মোড়, উড়ালপুল হয়ে হাসমি চক থেকে সেবক মোড় পর্যন্ত রাহুলের পদযাত্রাটি এগিয়ে যাবে। আড়াই কিলোমিটারের গোটা রুটটি কেমন তা খতিয়ে দেখতে বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের তিন সদস্যের একটি দল শিলিগুড়িতে আসে। দলটির নেতৃত্বে ছিলেন সুশান্ত মিশ্র।
জাতীয় কংগ্রেস কমিটির সদস্য তথা জেলা সভাপতি শংকর মালাকার বলছেন, ‘শহরের মানুষ রাহুল গান্ধিকে স্বাগত জানাতে মুখিয়ে রয়েছেন। পদযাত্রাটি হওয়ায় অনেক মানুষ রাহুল গান্ধির কাছাকাছি যাওয়ার সুযোগ পাবেন। সেবক মোড়ের পর থেকে উনি বাসে করে বাগডোগরার দিকে এগিয়ে যাবেন।’
নকশালবাড়ি হয়ে বিহারের দিকে যাওয়ার বদলে ভারত জোড়ো যাত্রাটি ইসলামপুর হয়ে ওই রাজ্যে ঢুকবে। তিন সদস্যের দলটি সে কারণে শুক্রবার সকালে রুট খতিয়ে করতে ইসলামপুর হয়ে বিহার চলে যাবে। এদিকে, ন্যায় যাত্রাটি রাজ্যের মধ্যে দিয়ে যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সেজন্য প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ১৩টি আলাদা আলাদা কমিটি তৈরি করে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে সেই কমিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়। যার মধ্যে ডেলিগেশন ওয়েলকাম কমিটি থেকে সিভিল সোসাইটি কোঅর্ডিনেশন কমিটির মতো আলাদা দল গড়ে দেওয়া হয়েছে। শংকর মালাকার, সুজয় ঘটক, সুখবিলাস বর্মা, মোহিত সেনগুপ্ত, বিনয় তামাং, ইশা খান চৌধুরীদের মতো নেতাদের কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যাঁরা অ্যাকমোডেশন ট্রান্সপোর্ট, পাবলিক মোবিলাইজেশন, কালচারাল কমিটির দায়িত্ব সামলাবেন।
অন্যদিকে, ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা নিয়ে এদিন অসমের জোরহাটে প্রবেশ করেন রাহুল গান্ধি। সব ঠিকঠাক থাকলে সাতদিনের মাথায় বক্সিরহাট হয়ে তিনি এরাজ্যে ঢুকে পড়বেন। ফালাকাটায় এক রাত কাটিয়ে তিনি ২৬ তারিখ শিলিগুড়ি হয়ে বাগডোগরায় যাবেন।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, ন্যায় যাত্রা উপলক্ষ্যে কয়েকদিনের মধ্যে শহর সাজিয়ে তোলা হবে। শহরের প্রধান রাস্তাগুলি দলীয় পতাকা, ফেস্টুনে মুড়ে যাবে। শহরের বিভিন্ন ক্লাব, খেলোয়াড়, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের যাত্রায় উপস্থিত থাকার জন্য দু’-একদিনের মধ্যে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু হবে।