উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: একসময় তিনিই ছিলেন ঘনিষ্ঠ সহযোগি। মাঝে কিছু দিনের বিচ্ছেদ। ফের আবার এনডিএ-র কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিলেন অন্ধ্রের নেতা তথা তেলুগু দেশম পার্টির সুপ্রিমো এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিলে সমর্থন জানানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এতে রাজ্য সভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স বিল পাশ করানো নিয়ে উদ্বেগ কেটে গেল বিজেপির।
বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বাইরে যেকটি বড় দল রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম টিডিপি। সুতরাং যখন বিরোধী দলগুলো নিজেদের মধ্যে জোট পাকিয়ে মাঝে মধ্যেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ছে সেখানে চন্দ্রবাবুর সমর্থন পাওয়া গেলে তা বিজেপির জন্য উপরি পাওনা হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এনডিএতে যোগ না দিলেও বিভিন্ন সময় বিজেপিকে সমর্থনের বার্তাই দিয়েছেন ওডিশার বিজু জনতা দলের নেতা নবীন পট্টনায়েক। একই ভাবে বিজেপির পাশে রয়েছে অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা ওয়াইএসআর কংগ্রেসের নেতা জগন্মোহন রেড্ডি। এবার সেই তালিকায় যোগ দিলেন চন্দ্রবাবুও। লোকসভায় টিডিপির সাংসদ সংখ্যা ৩। রাজ্যসভায় ১। এমনিতে টিডিপির সমর্থন ছাড়াও দিল্লি বিল পাশ করাতে বিশেষ সমস্যা হওয়ার কথা ছিল না নরেন্দ্র মোদি সরকারের। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে চন্দ্রবাবুর সমর্থন বিজেপির প্রয়োজন অন্য অঙ্কে। সন্মিলীত বিরোধী জোটের মুখে বিজেপি এখন এনডিএর অস্তিত্ব জানান দিতে তৎপর হয়েছে। যদিও এনডিএ-তে ৩৮ দল রয়েছে বলে দাবি করা হলেও তাতে উল্লেখ করার মতো নাম বলতে বিহারের লোকজনশক্তি পার্টির নেতা চিরাগ পাশোয়ান। বাকি তেমন বড় কোনও নাম নেই। ফলে রাজনৈতিকভাবে মোদিকে চন্দ্রবাবুর সমর্থন করাটা তাৎপর্যপূর্ণ।
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের সময় এনডিএ জোটের শরিক ছিলেন চন্দ্রবাবু। সেসময় অন্ধ্রে ক্ষমতায় ছিল তাঁর দল টিডিপি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের বছরখানেক আগে হঠাৎই মোদি বিরোধী হয়ে ওঠেন নায়ডু। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনেও ভরাডুবি হয় নায়ডুর। তারপর থেকে কিছুটা চুপচাপই ছিলেন এনটি রামারাওয়ের জামাতা। নিরবে দলের সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ করে গেছেন। এবার ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের বিউগল বাজতেই ফের সক্রিয় হয়েছেন চন্দ্রবাবু। বিজেপি শিবিরে ভিড়ে অন্ধ্রে যদি কিছুটা ভাল ফল করা যায় তাতে বিধানসভা নির্বাচনে তার সুবিধে হবে বলেই মনে করছেন তিনি।