হ্যামিল্টনগঞ্জ: হ্যামিল্টনগঞ্জের তরুণী স্নেহা ঘোষ সোশ্যাল মিডিয়া মারফত খোঁজ পেয়েছিলেন এক জ্যোতিষীর। ব্যক্তিগত কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য স্নেহা যার দ্বারস্থ হয়েছিলেন, সে-ই যে অবশেষে তাঁর সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা তিনি ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। যখন টের পেলেন, ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। কয়েক দফায় প্রায় ২৭ হাজার টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন সেই জ্যোতিষীকে।
অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছিলেন কালচিনি ব্লকের হ্যামিল্টনগঞ্জের সুভাষপল্লি এলাকার ওই তরুণী। প্রতারিত হয়েছেন টের পেয়ে তরুণীর বাবা কালচিনি থানার দ্বারস্থ হয়েছিলেন। অভিযোগ দায়েরের দুই সপ্তাহের মধ্যে কালচিনি থানার উদ্যোগে টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার কালচিনি থানায় অভিযোগকারীর হাতে পুলিশের তরফে প্রতীকী চেক তুলে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে টাকা তরুণীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
কী ঘটেছিল? চলতি মাসের ১৩ তারিখ স্নেহা ওই প্রতারককে ফোন করে তাঁর সমস্যা জানান। অভিযোগ, তারপর নানা অছিলায় তাঁকে অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে বলা হয়। তরুণীকে দামি পাথর ধারণ করার পরামর্শ দেয় সেই ভুয়ো জ্যোতিষী। পরপর ৬ বারে ওই তরুণী প্রায় ২৭ হাজার টাকা অনলাইনে পাঠান। এরপর আরও টাকার দাবি করায় তরুণীর সন্দেহ হয়। তিনি তাঁর বাবা বিজয়কুমার ঘোষকে বিষয়টি জানান। বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন।
কালচিনি থানার সাইবার সেল তদন্তে নামে। যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েছে, সেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে আর্থিক প্রতারণার বিষয়টি জানিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধ করতে বলা হয়। ব্যাংকের তরফে টাকা তরুণীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ফেরত পাঠানো হয়। পুলিশের এমন ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিজয়।
মাসদুয়েক আগে কালচিনির এক বাসিন্দা অনলাইনে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদে পড়ে প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা খুইয়েছিলেন। সে ক্ষেত্রেও কালচিনি থানার পুলিশ টাকা উদ্ধারের ব্যবস্থা করে। কালচিনি থানার ওসি গৌরব হাঁসদা জানিয়েছেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত সাধারণ মানুষকে সচেতন করি যাতে কেউ সঠিক তথ্য যাচাই না করে আর্থিক লেনদেন না করেন। তবুও অনেকেই একই ভুল করছেন। আগামীদিনেও মানুষকে সচেতন করা হবে।’