মেখলিগঞ্জ: রাজ্যের দীর্ঘতম জয়ী সেতুতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রুখতে পথে নামল মেখলিগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ। বুধবার মেখলিগঞ্জ ট্রাফিক ওসি মানস করের নেতৃত্বে জয়ী সেতুতে বাইক, গাড়ি, টোটো দাঁড় করিয়ে সেলফি, ফটো তোলা বন্ধ করতে অভিযানে নামে ট্রাফিক পুলিশ। এদিন সেতুতে উপস্থিত মানুষকে সচেতন করা হয় ট্রাফিক পুলিশের তরফে। ট্রাফিক পুলিশের এই উদ্যোগে খুশি মেখলিগঞ্জের সচেতন বাসিন্দারা।
মেখলিগঞ্জ-২ ব্লকের মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ি তিস্তা নদীর কারণে দীর্ঘদিন ধরেই পরস্পরের থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দুই ব্লকের মানুষদের দীর্ঘ কয়েক দশকের দাবিকে স্বীকৃতি দিয়ে মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির মাঝে জয়ী সেতুর উদ্বোধন করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এই সেতুকে ঘিরে প্রথম থেকেই সাধারণ মানুষের আবেগ ছিল চোখে পড়ার মতো।
স্বাভাবিকভাবেই মেখলিগঞ্জ মহকুমা ও পাশ্ববর্তী এলাকার পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসেন জয়ী সেতু দেখার জন্য। জয়ী সেতুতে আসার স্মৃতি ধরে রাখতে অনেকেই মাঝ সেতুতে গাড়ি বাইক দাঁড় করিয়ে সেলফি বা ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। অনেক সময় সেতুর মাঝে রাস্তায় শুয়ে ক্যামেরা দিয়ে ফটোশুট চলে। এর ফলেই যে কোনও সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে জয়ীকে কেন্দ্র করে। তারমধ্যে শীতে জয়ী সেতু সংলগ্ন এলাকায় মাঝে মাঝেই এত বেশি পরিমাণে কুয়াশা থাকছে যে ৫ থেকে ৭ ফিট দূরত্বেও কিছুই চোখে পড়ে না। সেক্ষেত্রে এভাবে মাঝ সেতুতে গাড়ি দাঁড় করানোর ফলে যে কোনও সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলেই মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। মেখলিগঞ্জের ট্রাফিক ওসি মানস কর জানান, নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলবে।