Thursday, May 2, 2024
Homeউত্তর সম্পাদকীয়শাস্ত্রবিরোধী আন্দোলন ও তাত্ত্বিক বন্ধুর উপন্যাস

শাস্ত্রবিরোধী আন্দোলন ও তাত্ত্বিক বন্ধুর উপন্যাস

  • শেখর বসু

সক্রিয় রাজনীতি কস্মিনকালেও করিনি। তবে, একেবারে যে করিনি তাও নয়। পাকেচক্রে জড়িয়ে পড়েছিলাম। হয়েছিল কী, আমাদের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে পুলিশের হাত থেকে উদ্ধার করার জন্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। আমার সঙ্গে আরও এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুও ছিল। সেই প্রথম চষে বেড়িয়েছিলাম লোকাল থানা, লালবাজার, শিয়ালদা পুলিশ কোর্ট। কোথায় কী ধরনের প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটানো যায়, তার সন্ধান ও তদ্বির করতেও পিছপা হইনি। এবং সেটা এতটাই বাড়াবাড়ি রকম ছিল যে, নাওয়াখাওয়া পর্যন্ত ভুলতে বসেছিলাম।

একদিন এক সুপারিশের সুযোগ এল। সেই সূত্রে এক সকালে লালবাজারে ডিসি ডিডি ওয়ানের কোয়ার্টার্সেও পৌঁছে গিয়েছিলাম। উনি সব কথা শোনার পরে ফোনে খুব নীচু গলায় কথা বললেন। তারপর বললেন, তোমাদের বন্ধু তো সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছে। বন্ধু বলে কথা, আমরা কিছুটা ওকালতি করলাম। তারপর উনি গম্ভীর গলায় বললেন, যারা দু’চারটে খুন করে, আমরা তাদের চাইতেও বেশি বিপজ্জনক মনে করি যারা অল্পবয়সিদের মাথা খায় এমন ব্যক্তিদের। তোমাদের এই বন্ধুটি তো তাত্ত্বিক নেতা। সেইসঙ্গে তিনি এও বলেছিলেন, তোমরা যদি এই বন্ধুকে ছাড়াবার জন্য আদাজল খেয়ে লাগো, তাহলে তোমরাও ফেঁসে যেতে পারো। বরং এসব ছেড়ে দিয়ে নিজেদের কাজে মন দাও গে।

কে না জানে, অল্পবয়সে বন্ধুপ্রীতি প্রবল থাকে। আমরা ওই অফিসারের কথাকে থোড়াই কেয়ার করে নানাভাবে আমাদের ওই বন্ধুকে উদ্ধারের চেষ্টা করি। এবং কী আশ্চর্য, শেষ পর্যন্ত সফলও হই।

এই ঘটনাকেই আমি আমার উপন্যাসের বিষয় করে তুলেছিলাম। মুশকিল হল, সব সত্যি দিয়ে তো আর গল্প-উপন্যাসের কাঠামো তৈরি হয় না। তার সঙ্গে বিস্তর কল্পনাও মেশাতে হয়। এই মিথ্যেটুকু মেশাবার জন্য সংযোজন করেছিলাম এক নায়িকাকে। সেই প্রধান দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নিয়েছিল। এই উপন্যাসের নাম ছিল অন্য রকম।

এই উপন্যাসই কিন্তু আমার প্রথম নয়। এর আগে উপন্যাস লেখার একটিমাত্র অভিজ্ঞতা ছিল আমার পুঁজিতে। এর বছরদুয়েক আগে ‘সিঁড়ি’ নামের উপন্যাস লিখেছিলাম একটি ছোট পত্রিকায়। দিল্লির এক প্রকাশনী থেকে এটি বই আকারে বেরিয়েছিল। তখন উপন্যাসের নাম বদলে দিয়ে রেখেছিলাম, ‘ফিরে এলাম’। চোখের সামনে দিয়ে তখন দিনগুলো লাফিয়ে লাফিয়ে সরে যাচ্ছিল, কিন্তু কিছুতেই উপন্যাসের পছন্দসই বিষয় খুঁজে পাচ্ছিলাম না। সেই সঙ্গে ছিল মনের মধ্যে অদ্ভুত এক অস্থিরতা। একটি নতুন ধরনের উপন্যাস লিখতে হবে। অন্যরকম উপন্যাস। পাঠকরা নতুন স্বাদ অনুভব করতে পারবেন। কিছুদিনের জন্য হলেও লেখককে মনে রাখবেন।

যাইহোক, এই যে বিখ্যাত কাগজে উপন্যাস লেখার বরাত পেলাম সেই ঘটনাটাই বলি। সালের হিসাবে সেটা ছিল ১৯৭৪। এপ্রিল কি মে মাস। বিখ্যাত দৈনিকের অফিসের লম্বা করিডর ধরে হাঁটছি। উলটো দিক থেকে আসছেন রবিবাসরীয় দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও লেখক রমাপদ চৌধুরী। ছিপছিপে চেহারা। তাঁর মুখে সারাক্ষণই লেগে থাকত অসম্ভব এক কাঠিন্য। স্বল্প পরিচিত মানুষদের এড়িয়ে যাবার জন্যই হয়তো! ওঁর এই এড়িয়ে যাওয়ার কাজটি সহজ করার জন্যে, আমি করিডরের একটু বেশি ধারে সরে গিয়েছিলাম। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ উনি থমকে দাঁড়িয়ে বললেন, এই শুনুন! গম্ভীর গলা শুনে আমি একটু জড়সড়ো হয়ে দাঁড়িয়ে পড়লাম। সটান প্রশ্ন করলেন, আপনি কি আড়াই-তিন মাসের মধ্যে একটা উপন্যাস লিখে দিতে পারবেন? পুজো সংখ্যার জন্য। পারবেন?

বিষয়টা বুঝে ওঠার আগে একেবারে ঘেঁটে গিয়েছিলাম। কোনও মতে মাথা নেড়েছিলাম। উনি আর কথা বাড়াননি। নিজের ঘরের দিকে এগোতে এগোতে বলেছিলেন, ঠিক আছে, তাড়াতাড়ি লিখতে শুরু করে দিন।

এই উপন্যাস লেখার নির্দেশ জারি হওয়ার আগে বিখ্যাত দৈনিক ও সাহিত্য পত্রিকায় আমার বড়জোর ছয়-সাতটি গল্প বেরিয়েছে। সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশ পাওয়া প্রথম গল্পটির নাম ছিল টাঙ্গি। সেটা ১৯৭০ সাল। গল্পটির কপালে বেশ একটু প্রশংসা জুটেছিল। প্রকাশের পরে পরেই ‘নতুন স্রোতের বাংলা গল্প’ অভিধায় গল্পটির হিন্দি অনুবাদ বেরিয়েছিল। যাই হোক, সম্পাদক মহাশয়ের নির্দেশ শুনে নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। যা শুনেছি, ঠিক শুনেছি তো! সেই আমলে প্রথমসারির পুজো সংখ্যায় তরুণ লেখকের উপন্যাস লেখার আহ্বান, সে এক বিরাট ব্যাপার ছিল। বড় কাগজে গল্প লেখার সুবাদে বৃহত্তর পাঠকগোষ্ঠীর কাছে কিছুটা হয়তো পৌঁছোতে পেরেছিলাম।

সেই সময় আমার প্রধান জায়গা ছিল আমাদের ছোটগল্পভিত্তিক সাহিত্য-আন্দোলন। আমাদের পত্রিকার নাম ছিল ‘এই দশক’। আন্দোলনের স্লোগান ছিল ‘শাস্ত্রবিরোধী ছোটগল্পের পত্রিকা’। এই শাস্ত্রের সঙ্গে ধর্মের কোনও সম্পর্ক ছিল না, আমরা শাস্ত্র বলতে গতানুগতিক ধারার লেখা বুঝিয়েছিলাম। নতুন ধরনের গল্প লিখতে চেয়েছিলাম আমরা। আমাদের পত্রিকার প্রকাশ শুরু হয়েছিল ১৯৬৬ সাল থেকে। আন্দোলন নিয়ে বেশ মেতে ছিলাম। কোনও চাপ ছিল না, হাতে অঢেল সময়। মাথায় নতুন গল্পের বীজ ঘুরত সবসময়, ছোট আকারের একটি গল্প লিখে ফেলতে পারলেই বেজায় খুশি। হয়তো তারপর কিছুদিন শামুকের খোলসের মধ্যে ঢুকে যেতাম। এমনই একটা সময়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপন্যাস লেখার নির্দেশ এসেছিল। সেই উপন্যাসের মূল বীজটুকু কীভাবে পেয়েছিলাম, তার উল্লেখ আগেই করেছি। আরও একটু বলা যাক।

আমার এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু নকশালবাড়ি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাত্ত্বিক নেতা। নিজের বাড়িতে বসে ছোট মাপের লাল-লাল মলাটের বইপত্র খুলে তরুণতরদের ক্লাস নিত নিয়মিত। তখন এখানে-ওখানে বেজায় রকম পুলিশি ধরপাকড় শুরু হয়েছিল। এক রাতে আমার সেই বন্ধুকে পুলিশ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম ওকে স্থানীয় থানার লক আপে রাখা হয়েছে। তার পরের কথা আগেই বলেছি। সেই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে লিখতে বসেছিলাম উপন্যাস। সেই উপন্যাসে ঘটনার ঘনঘটা ছিল না। পাত্রপাত্রীর মনোজগতের বিচিত্র সব আবর্তই প্রধান। শেষে গুরুতর আরও একটি আবর্ত ওঠার আভাস দিয়েই উপন্যাস শেষ। অন্যরকম উপন্যাস লিখতে চেয়েছিলাম, উপন্যাসের নামও দিলাম অন্য রকম। সত্যি বলতে, খুব ভয়ে ভয়ে ছিলাম। উপন্যাস জমা দেওয়ার কয়েক দিন পরে সম্পাদক আগেরই মতো গম্ভীর মুখে জানালেন, আপনার উপন্যাসটা ভালো হয়েছে, এবারের পুজোর অমুক পত্রিকায় যাবে।

পত্রিকায় প্রকাশের আগেই লোকমুখে ছড়িয়ে পড়েছিল খবরটা। পথেঘাটে বহু লেখকই আমাকে প্রশ্ন করে খবরের সত্যতা যাচাই করে নিয়েছিলেন। প্রশ্নকর্তাদের তালিকায় অগ্রজ লেখকদেরও কেউ কেউ ছিলেন। উত্তরে ‘হ্যাঁ’ বলায় কেউ-কেউ বলেছিলেন- বাহ্‌! খুব ভালো খবর! কারও কারও মুখ আবার বেশ গম্ভীর হয়ে যেতে দেখেছিলাম। একজন বলেছিলেন- তুমি তো হাতে আকাশের চাঁদ পেয়ে গিয়েছ!

কথাটা হয়তো খানিকটা সত্যিও। একজন তরুণ লেখকের উপন্যাস লেখা নিঃসন্দেহে একটি বড় ঘটনা ছিল সে সময়। তখনকার দিনকাল একেবারে অন্য ধরনের ছিল। তখন বহুলপ্রচারিত পুজো সংখ্যা বলতে ছিল মাত্র তিনটি। এই তিনটি পুজো সংখ্যার একটি বা দুটি তখন অধিকাংশ শিক্ষিত বাঙালির হাতে পৌঁছে যেত। সেই আমলে পুজোর বাজার করার সঙ্গে সঙ্গে বেশিরভাগ বাঙালি একটি করে পুজো সংখ্যা কিনতেন।

তখনও দূরদরর্শনের আবির্ভাব হয়নি। দূরকে দর্শন করা টিভির চোখে চোখ রাখে ১৯৮২ সাল। ওই সময়েই ভারত সরকারের প্রযোজনায় মুন্সী প্রেমচাঁদের গল্প নিয়ে তৈরি সত্যজিৎ রায়ের সদগতি দেখানো হয় টিভিতে। আজকের মতো হাজারো টিভি চ্যানেলের কথা কেউ তখন বোধহয় ভাবতেও পারতেন না। কম্পিউটার, ইন্টারনেট, মোবাইল তখন দূর আকাশের তারা!

শহুরে শিক্ষিত বাঙালির কাছে তখন প্রধান বিনোদন ছিল সিনেমা। তারপর থিয়েটার। পুজোর সময় বা একটু পরে বসত গানের জলসা। শীতের সময় কলকাতায় হত বঙ্গ সংস্কৃতি সম্মেলন। সারা রাত ধরে ওখানে উচ্চাঙ্গ সংগীতের আসরও বসত। আর ছিল ছোটখাটো কিছু হস্তশিল্পের স্টল। অল্পস্বল্প যাত্রা-থিয়েটারের ব্যবস্থা ছিল। গ্রামবাংলার কিছুটা সংস্কৃতিও তুলে আনা হত প্রাঙ্গণে। ছিল পিঠেপুলি, পায়েসের দোকান। ছোট-বড় কয়েকটি মণ্ডপ তৈরি হত সম্মেলনে। একটি ছোট মণ্ডপের একধারে গোটাকুড়ি বইয়ের দোকান থাকত। ওই কুড়িটি দোকানের আঠারোটিই ছিল ছোট এবং অখ্যাত প্রকাশকদের। আমরা বিনি পয়সায় একটা স্টল পেতাম। সেটি সাজাতাম আমাদের পত্রপত্রিকা ও চটি-চটি কয়েকটি বই দিয়ে। কলকাতা বইমেলা তখন দূরের ব্যাপার। ফুটবল ও টেস্ট ক্রিকেট ছিল, তাও দুটি ঋতুর কিছু সময়ে। সেই আমলে কলকাতায় বিনোদনের এই ছিল মোটামুটি চেহারা। শিক্ষিত বাঙালিরা তখন বই ও পত্রিকা পড়ার অভ্যাসটি পুরোপুরি বজায় রেখেছিলেন। বিখ্যাত লেখকরাই পত্রিকার পুজো সংখ্যায় লিখতেন। নিয়মিত ঔপন্যাসিকদের লেখকসূচিতে ছিলেন সুবোধ ঘোষ, সন্তোষকুমার ঘোষ, রমাপদ চৌধুরী, বিমল কর, সত্যজিৎ রায় প্রমুখ। সমরেশ বসু লিখতেন দুই নামে। একটি স্বনামে, অপরটি ‘কালকূট’ ছদ্মনামে। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, মতি নন্দী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় পুজো সংখ্যার নিয়মিত ঔপন্যাসিকদের তালিকায় সবে যুক্ত হয়েছেন। অনিয়মিতভাবে উপন্যাস লিখতেন শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়, সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, বরেন গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। দেশ পুজো সংখ্যার অন্য আকর্ষণও ছিল। সাগরময় ঘোষের সৌজন্যে প্রাপ্ত রবীন্দ্রনাথের বেশ কিছু চিঠি ও ওইসব সম্পর্কে বিস্তৃত নোট বার হত। তথ্যবহুল নিবন্ধ লিখতেন শ্রীপান্থ ও অমিতাভ চৌধুরী। গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়টিতেই বিখ্যাত পত্রিকায় উপন্যাস লেখার ডাক পেয়েছিলাম।

Uttarbanga Sambad
Uttarbanga Sambadhttps://uttarbangasambad.com/
Uttarbanga Sambad was started on 19 May 1980 in a small letterpress in Siliguri. Due to its huge popularity, in 1981 web offset press was installed. Computerized typesetting was introduced in the year 1985.
RELATED ARTICLES
- Advertisment -
- Advertisment -spot_img

LATEST POSTS

Jalpaiguri | পুত্র সন্তানের জন্য বিয়ে করা স্ত্রীকে খুন! অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে অবরোধ

0
জলপাইগুড়ি: পুত্র সন্তানের জন্য বিয়ে করা দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে মারার অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) সদর ব্লকের...

Sushmili Acharya| ১২-১৪ ঘণ্টা শুটিং করে পড়াশোনা, মাধ্যমিকে কত নম্বর পেল ‘রামপ্রসাদ’ খ্যাত সুস্মিলি?

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলা টেলিভিশনের ‘রামপ্রসাদ’ ধারাবাহিকে স্ত্রী সর্বাণীর চরিত্রে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছিলেন সুস্মিলি আচার্য (Sushmili Acharya)। এবছর মাধ্যমিক...

Amla Benefits | কোন ৫ কারণে গরমেও নিয়ম করে খাবেন আমলকি?

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: শীতকালে রোগবালাই থেকে দূরে থাকতে আমলকির জুড়ি মেলা ভার। তবে শুধু শীতকাল নয়, গরমেও সমান উপকারী আমলকি। গরমেও শারীরিক সমস্যার...
madhyamik is not final, there is more to go said Chandrachur sen

Madhyamik Result | ‘মাধ্যমিকই চূড়ান্ত নয়, আরও পথচলা বাকি’, জানালো রাজ্যের সেরা চন্দ্রচূড়

0
উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকালে প্রকাশিত হয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল(Madhyamik Result)। এবার রাজ্যে সেরার সেরা শিরোপা পেয়েছে কোচবিহারের ছেলে চন্দ্রচূড় সেন(Chandrachur Sen)। কোচবিহার রেলঘুমটি...

Madhyamik 1st Boy | নজরকাড়া সাফল্যে গৃহশিক্ষকই ভরসা! কী জানাল মাধ্যমিকে প্রথম চন্দ্রচূড়

0
কোচবিহার: রাজ্যে মাধ্যমিকে (Madhyamik-result-2024) প্রথম কোচবিহারের (Coochbehar) চন্দ্রচূড় সেন (Chandrachur Sen)। তার এই নজরকাড়া সাফল্যের পেছনে কার ভূমিকা সবচেয়ে বেশি? জানাল চন্দ্রচূড়। তার কথায়,...

Most Popular