উত্তরবঙ্গ ব্যুরো: উৎসাহ ও শ্রদ্ধার সঙ্গে ইদ-উল-আযহা বা কুরবানির ইদ পালিত হল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তরবঙ্গের জেলায় জেলায় পবিত্র ইদ উৎসব পালিত হয়। এদিন সকালে মেটেলি ব্লকের মেটেলি, চালসা, ধূপঝোরা, বাতাবাড়ি, মাথাচুলকা, শালবাড়ি এলাকার বিভিন্ন মসজিদ ও ইদগাহের ময়দানে ইদের নমাজ অনুষ্ঠিত হয়। কচিকাঁচা থেকে বয়স্কদের একসঙ্গে নমাজ পড়তে দেখা যায়। নমাজের পর বিশ্বশান্তির জন্য দোয়া করা হয়। বাতাবাড়িতে দিঘির পারে ইদগাহের ময়দানের সামনে ছোট মেলাও বসে। বিভিন্ন নমাজের স্থলে ছিল কড়া পুলিশি প্রহরা। কোথাও যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সচেষ্ট রয়েছে পুলিশ প্রশাসনও।
এদিকে, পবিত্র ইদের দিন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে দূরে সরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করলেন জেলা পরিষদের প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থী। এদিন নমাজ শেষে ইদের শুভেচ্ছা জানাতে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ২২ নম্বর আসনের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল বাকি পৌঁছে গেলেন সিপিআইএম প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে। দুই প্রার্থী জানান, আমরা ভোটে দাঁড়িয়েছি এলাকার উন্নয়নের জন্য। আমাদের মধ্যে যেই জিতুক না কেন এলাকার সার্বিক উন্নয়ন হবে এটাই আশা রাখি।
যথাযোগ্য মর্যাদার সহিত আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট বীরপাড়া ব্লকে পাঠ হল ইদের নমাজ। এদিন সকাল থেকে বীরপাড়া, শিশুবাড়ি, দলদলি, ইসলামাবাদ, খয়েরবাড়ি, মাদারিহাটের বিভিন্ন এলাকায় ইদের নমাজ পাঠ শুরু হয়। বীরপাড়ার সুভাষপল্লিতে মসজিদে ইদের নমাজে অংশ নেন মহিলারাও।
অন্যদিকে, নাগরাকাটায় ইদের আসরে শুধুই সৌহার্দ্যের পরিবেশ। উধাও ভোট যুদ্ধের যাবতীয় বৈরিতা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা একে ওপরকে শুভেচ্ছাও জানালেন। সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায় অধ্যুষিত সুলকাপাড়ার ইদ এমনিতেই সম্প্রীতির ইদ নামেই পরিচিত। গোটা ডুয়ার্সের নিরিখে ইদের নমাজ আদায়ের অন্যতম বড় আসর বসে সুলকাপাড়াতেই। এবার ছিলো সেখানে ৫৬ তম নমাজ আদায়ের অনুষ্ঠান। ১০ হাজারেরও বেশি ধর্মপ্রাণ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ স্থানীয় ইদগাহ ময়দানে জড়ো হন।
কিশনগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে মসজিদে মসজিদে কুরবানি ইদ পালিত হয়।
অন্যদিকে, ইদের শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে প্রচারে বের হলেন ফরাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদ প্রার্থী আঞ্জুমারা খাতুন। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কংগ্রেসে থেকে কিছু কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না তাই তৃণমূলে যোগ দিলাম। ২০১৮ সালে তৃণমূলের প্রতীকেই জয়যুক্ত হয়ে ফারাক্কা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব পেলাম l পদে থাকাকালীন যতটা পেরেছিলাম মানুষের জন্য করেছি। এবার প্রচারে ঘুরতে ঘুরতে বুঝলাম বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে কে প্রার্থী দাঁড়িয়েছে তা বড় কথা নয় মহিলারা চান দিদির উন্নয়নের শরিক হতে। আমিও মনে করি যতদিন রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছে ততদিন মহিলারা সুরক্ষিত আছে। উন্নয়নও অব্যাহত থাকবে।