উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্রিসের এথেন্স থেকে দিল্লি ফেরেন শনিবার। চন্দ্রযানের সাফল্যের পর ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করে সংবর্ধনা জানাতেই প্রধানমন্ত্রীর এই ঝটিকা সফর। কিন্তু এদিন প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে অনুপস্থিত ছিলেন বেঙ্গালুরুর রাজ্যপাল তহরচাঁদ গেহলট এবং মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া।যা নিয়ে স্বাভাবিকভাবে উঠছে প্রশ্ন।
সাধারণত প্রধানমন্ত্রী কোন রাজ্যে গেলে তাকে সেই রাজ্যের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রী স্বাগত জানাবেন, এটাই সরকারি নিয়ম। যদি কোন কারণে মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত না থাকতে পারেন তাহলে আগেই জানাতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অফিসকে।অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী যদি নিজের দলের কোন কর্মসূচি নিয়ে কোন রাজ্যে যান তাহলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে না গিয়ে রাজ্যের অন্যকোনও মন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য পাঠান।কিন্তু বেঙ্গালুরুতে মানা মানা হলনা এই বিধি। কিন্তু কেন? উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
যদিও এই সংশয় নিরসন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং বলেন, ‘আমিই ওঁদের বলেছিলাম, প্রটোকল রক্ষার জন্য অত সকালে কষ্ট করে বিমানবন্দরে আসার দরকার নেই।আমি এথেন্স থেকে সরাসরি বেঙ্গালুরুতে নেমেছি। ক’টায় বিমান বেঙ্গালুরু পৌঁছাতে পারবে আগাম জানা সম্ভব ছিল না। তাই বলেছিলাম, কষ্ট করে সকালবেলা আমাকে স্বাগত জানাতে আসতে হবে না।’
প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের পর কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) বলেন, ‘আসলে প্রধানমন্ত্রী কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আছেন। তাঁরা আগেই ইসরোর বিজ্ঞানীদের রাজ্য সরকারের তরফে সংবর্ধনা জানিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ইসরোর চেয়ারম্যানের অফিসে গিয়ে দেখা করে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এগুলি প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ হয়নি। এটা ক্ষুদ্র রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়। প্রধানমন্ত্রী মোদী সম্ভবত ভুলে গিয়েছেন যে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় তিনি ২০০৮-এ চন্দ্রযান-১ এর সফল উৎক্ষেপণের পর আমদাবাদে ইসরোর স্পেস অ্যাপ্লিকেশন সেন্টারে গিয়েছিলেন। তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ।’
পাশাপাশি কংগ্রেসের অন্যান্য নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী চাননা ইসরোর বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার সময় কংগ্রেসের কেউ থাকুক। প্রধানমন্ত্রী চান বিজ্ঞানীদের সাথে তার একার ছবি থাক। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে মোদির বেঙ্গালুরুর ঝটিকা সফর ঘিরে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে।