উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ফের উত্তপ্ত হরিয়ানার নুহ। অব্যাহত সাম্প্রদায়িক অশান্তি। রবিবার মাঝরাতে গুরুগ্রামের একটি ধর্মস্থানে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মস্থানের কেয়ারটেকার স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও স্থানীয় প্রশাসনের দাবি নুহর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।
খান্দসা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত ধর্মস্থানের কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, রবিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি যখন ফিরোজ গান্ধি কলোনির বাড়িতে ফেরেন, তখনও সেখানে সবকিছু স্বাভাবিক ছিল। রাত দেড়টা নাগাদ, তাঁকে একজন ফোন করে জানায় মাজারে কিছু লোক আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। কেয়ারটেকার রামের কথায়, ‘আমি যতক্ষণে ওখানে গিয়ে পৌঁছলাম, দেখলাম বন্ধ মাজারের মধ্যে অনেক কিছুই পুড়ে গিয়েছে। স্থানীয়রা জানালেন, ৫-৬টা ছেলে জড়ো হয়ে মাজারে আগুন লাগিয়েছে।’ রামের দাবি, তিনি সাত বছর ধরে এই মাজারে কেয়ারটেকারের কাজ করছেন। গ্রামের সব ধর্মের মানুষ সেখানে প্রার্থনা জানাতে আসেন। আগুন লাগানোর বিষয়টি বহিরাগতের কাজ বলেই মনে করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার হরিয়ানার নুহতে একটি ধর্মীয় মিছিল থেকেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি ছড়িয়েছিল। সেই অশান্তির রেশ এসে পড়েছিল গুরুগ্রামেও। নুহতে এখনও কার্ফু জারি রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে যথেষ্টই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে পুলিশ।
অন্যদিকে, হরিয়ানার এই অশান্তি, সংঘর্ষের পিছনে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের হাত রয়েছে বলে মনে করছে হরিয়ানা প্রশাসন। গত চার দিনে ৩৫০টি ঝুপড়ি, ৫০টিরও বেশি পাকা বাড়ি, হোটেল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে বুলডোজার থামানোর নির্দেশ দিয়েছে পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর বুলডোজার থামানোর নির্দেশ দেন ডেপুটি কমিশনার ধীরেন্দ্র খাদগাতা। ধীরেন্দ্রর অবশ্য বক্তব্য, ‘বেআইনি নির্মাণ ভাঙতেই উচ্ছেদ অভিযান চলছিল। নির্দিষ্ট ভাবে কোনও সম্প্রদায়কে টার্গেট করা হয়নি। শান্তি প্রতিষ্ঠাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল।’