উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই রথযাত্রা। জগন্নাথ দেবের মন্দিরে সকালের পুজোর জলখাবারের ভোগ এবং সন্ধ্যা-আরতির ভোগ হিসেবে নানা রকম মালপোয়া উৎসর্গ করা হয়। নদীয়ায় অবস্থিত রাজাপুরের জগন্নাথ মন্দিরেও মালপোয়া ভোগ দেওয়ার রীতি আছে। বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে নানা পদ্ধতিতে মালপোয়া তৈরি করা হয়। তবে এবার একটু ভিন্ন স্বাদ। সামান্য উপকরণ দিয়ে ক্ষীরের মালপোয়া খেতে অসাধারণ লাগে। তবে কীভাবে বানাবেন? জানুন প্রণালী…
উপকরণ:
দুধ দেড় কাপ, কোড়ানো খোয়া ক্ষীর ১ কাপ, ময়দা ১ কাপ, মৌরি, ঘি/সাদা তেল, দুধ ১ লিটার, চিনি, এলাচ গুঁড়ো, কাজু, পেস্তা, আমন্ড, কেশর, এলাচ।
প্রণালী:
হালকা গরম দুধে খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভালো করে মেশান। ক্ষীর দুধের মধ্যে একেবারে মিশে গেলে তাতে অল্প অল্প করে ময়দা দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। এবার ব্যাটারটি একটি বড় পাত্রে ঢেলে নিন। এতে এক চামচ মৌরি দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। কড়াইয়ে ঘি বা সাদা তেল গরম করুন। এবার ডুবো তেলে একটি হাতা করে অল্প ব্যাটার নিয়ে তেলে সাবধানে ছেড়ে দিন। দেখবেন সেটি গোল লুচির মতো তেলে ভেসে উঠবে। এপিঠ ওপিঠ করে মালপোয়া ভেজে নিন।
চিনির রস পছন্দ করলে মালপোয়াগুলি সিরায় ভেজান। এক্ষেত্রে এক কাপ জল গরম করে তাতে চিনি দিয়ে ফোটাতে থাকুন। ধীরে ধীরে চিনি গলে যেতে থাকবে। তাতে ৩ থেকে ৪টি এলাচ থেঁতো করে দিয়ে দিন। এতেই এবার ক্ষীরের মালপোয়া দিয়ে দিন। আর যদি রাবড়িতে ডোবানো ক্ষীরের মালপোয়া খেতে চান, তাহলে আলাদা করে রাবড়ি তৈরি করে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে একটা পাত্রে দুধ দিয়ে অল্প আঁচে গরম করতে থাকুন। এক লিটার দুধ ফুটিয়ে অর্ধেক করতে হবে। দুধ যখন ঘন হতে থাকবে এবং পরিমাণে কমে যাবে, তখন তাতে চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। এবার এতে দিয়ে দিন এলাচ গুঁড়ো এবং কেশর মেশানো দুধ। ফের নাড়তে থাকুন। তৈরি হয়ে গেল রাবড়ি। এবার ঠান্ডা করতে দিন। কাজু, পেস্তা ও আমন্ডের টুকরো উপর থেকে ছড়িয়ে দিন। এবার ভোগ হিসেবে প্রভু জগন্নাথকে পরিবেশন করতে পারেন ‘ক্ষীরের মালপোয়া’।