ইসলামাবাদ: মঙ্গলবার জামিন পাওয়ার পরই অন্য এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বুধবার এক বিশেষ আদালত নির্দেশ দিল, ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেপাজতে থাকতে হবে ইমরানকে।
প্রসঙ্গত, গতকাল তোষাখানা মামলায় জামিন পেয়েছিলেন ইমরান। এরপরই সাইফার মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। বুধবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। কী এই সাইফার মামলা? প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পিছনে আমেরিকার ষড়যন্ত্র রয়েছে, এই অভিযোগ ছিল ইমরানের। সেই অভিযোগের প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি একটি নথি প্রকাশ্যে আনেন। জনসভায় তা প্রদর্শন করেন। সেই নিয়েই ইমরানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। যদিও ইমরানের দাবি, তিনি যা দেখিয়েছিলেন তা সাইফার অর্থাৎ গোপন খবরের সাংকেতিক রূপ নয়।
গত ৫ অগাস্ট তোষাখানা মামলায় ইমরান খানকে তিন বছরের সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। পাশাপাশি এক লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়। বলা হয়েছিল, অনাদায়ে আরও ৬ মাস জেলে থাকতে হবে তাঁকে এবং পাঁচ বছর কোনও নির্বাচন লড়তে পারবেন না তিনি। শেষপর্যন্ত ইসলামাবাদ হাইকোর্ট গতকাল তাঁর সাজা স্থগিত করে জামিনে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু ফের অন্য মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।