উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: ত্রিপুরায় জয়জয়কার বিজেপির। শুক্রবার ত্রিপুরার দুই বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফল ঘোষণা হল। ফলে ঘোষণার পর দেখা যায় সিপিএম কে কার্যত ধরাশায়ী করেছে বিজেপি। বক্সনগর এবং ধনপুর এই দুই কেন্দ্রের মধ্যে ধনপুর বিজেপিরই অধীনে ছিল প্রথম থেকেই বলে দাবি করেছিল গেরুয়া শিবির। তবে উপনির্বাচনে তাদের লক্ষ্য ছিল বক্সনগরের মানুষের মন জেতা।কারণ, বক্সনগর শুধু সিপিএমের দখলে ছিল তাই নয়, এই কেন্দ্রটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত।
এদিন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বক্সনগরে বিজেপি প্রার্থী তফজ্জল হোসেন পেয়েছেন ৩৪,১৪৬ ভোট।সিপিএমের মিজান হোসেন পেয়েছেন ৩,৯০৯ ভোট। অন্যদিকে ধনপুরে বিজেপির বিন্দু দেবনাথ পেয়েছেন ৩০,০০৭ ভোট। সিপিএমের কৌশিক চন্দ পেয়েছেন ১১,১৪৬ ভোট।ভোটের ফলাফল বেরোনোর পর ত্রিপুরা বিজেপির মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘সিপিএম ভোটের পরে ময়দান ছেড়ে দিয়েছিল। কারণ, ওরা বুঝে গিয়েছিল, মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করছে। তাই আর গণনাকেন্দ্র মুখো হয়নি।’’ পাশাপাশি সিপিএমের ত্রিপুরার রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ‘‘ভোটের ফল দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বিজেপি প্রশাসনকে ব্যবহার করে কার্যত ছেলেখেলা করেছে। এটা কোনও ভোটই হয়নি! মানুষের প্রকৃত রায়ের প্রতিফলন এই ভোটের ফলাফল নয়। ভোট ডাকাতি করেছে বিজেপি।’’
বক্সনগরে বিজেপি জিততে মরিয়া ছিল। এর কারণ হিসেবে বিজেপি ব্যাখ্যা দেয়, এই কেন্দ্রের সংখ্যালঘু মানুষগুলিকে ভুল বুঝিয়ে নির্বাচনে জিতেছিল সিপিএম। এবার মানুষ সব কিছু ভেঙে দিয়েছে। আবার সিপিএমের অন্দরে এই সমালোচনাও হয় যে, কেন্দ্রীয় নেতারা প্রচারে কেন গেলেন না, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা দলের পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার কেন সময় দিলেন না উপনির্বাচনে তা নিয়েও।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভা ভোটে বাম-কংগ্রেসের জোট হলেও তিপ্রা মথা পৃথক ভাবে লড়েছিল।নির্বাচনের ফল বেরনোর পর দেখা যায় ১৩টি আসনে জয় পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে তিপ্রা মথা।তবে উপনির্বাচনে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তিপ্রা।সমর্থন করেছিল সিপিএমকে।কংগ্রেসও সমর্থন করেছিল বামেদের। বলা যেতে পারে এক অলিখিত ‘মহাজোট’ গড়ে ভোট লড়তে নেমেছিল সিপিএম। কিন্তু তার পরেও তাদের শোচনীয় ভাবে পরাস্ত হতে হল।
বিধানসভা নির্বাচনে ধনপুর কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। জেতার পর বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন। অন্যদিকে, বক্সনগর কেন্দ্রটি বিগত নির্বাচনে ছিল সিপিএমের দখলে। বিধায়ক সামসুল হকের মৃত্যু পর এই উপনির্বাচন হয়।