উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: বিহারের (Bihar) প্রাক্তন প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী কর্পুরি ঠাকুরকে (Karpoori Thakur) মরণোত্তর ভারতরত্ন (Bharat ratna) সম্মানে সম্মানিত করার ঘোষণা করল রাষ্ট্রপতির সচিবালয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতির মানুষের উন্নয়নের লক্ষ্যে অবদানের জন্যই তাঁকে এই সম্মানে সম্মানিত করল কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার তাঁর শতবর্ষ জন্মজয়ন্তী পালিত হবে। সেই শতবর্ষে এল সুখবর।
বিহারের জননায়ক হিসেবে পরিচিত কর্পুরি ঠাকুর। তিনি ছিলেন বিহারের দলিত আইকন। প্রতি বছর ২৪ জানুয়ারি তাঁর জন্মজয়ন্তী পালন করা হয়। বিহারের রাজনীতিতে দরিদ্র এবং পিছিয়ে পড়া জাতির কণ্ঠস্বর হিসেবে তাঁর অবদান রয়েছে।
কর্পুরি ঠাকুর বিহারের দু’বারের মুখ্যমন্ত্রী এবং একবারের উপ মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৫২ সালে তিনি প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হন। ১৯৬৭ সালে বিহারের শিক্ষামন্ত্রী হয়েছিলেন। পরে ১৯৭০ সালে সোসালিস্ট পার্টির নেতা হিসাবে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। সেবার অবশ্য এক বছরের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। পরে ১৯৭৭ সালে ফের মুখ্যমন্ত্রী হন কর্পুরি ঠাকুর। অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণের জন্য তিনি একটি ফর্মুলা বের করেছিলেন। যা কর্পুরি ঠাকুর ফর্মুলা নামে পরিচিত। ১৯৭৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি বিহারে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সরকারি চাকরিতে ২৬ শতাংশ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করেন। এরপরই জাতীয় স্তরে মণ্ডল-কমণ্ডল বিতর্ক শুরু হয়। গোটা দেশে অনগ্রসর শ্রেণির জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা চালু হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে ২৬ মাস জেলও খেটেছিলেন তিনি।