পেহেলগাঁও (জম্মু ও কাশ্মীর): পেহেলগাঁও সিনেমা জগতেও একটি পরিচিত নাম। একাধিক বলিউড ছবিতে এই জায়গা দেখতে পাবেন। পেহেলগামের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্য সুন্দরভাবে প্রত্যেকটি সিনেমায় ব্যবহার করা হয়েছে। যাদের মধ্যে অন্যতম হল জব তক হ্যায় জান, বেতাব সহ আরও অনেক। হয়তো গুণেও শেষ করা যাবে না। পেহেলগামের প্রতিটা কোণায় কোণায় হয়তো ছবির নানা দৃশ্যের শুটিং। সব হয়তো আমরা জানি না বা জানলেও যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কী কী দেখবেন স্বপ্ননগরীতে? যদিও দেখার অনেক কিছুই আছে। তার মধ্যে যেগুলো জায়গায় না গেলে ঘোরাটাই বৃথা, সেগুলি হল বৈশরণ ভ্যালি যাকে মিনি সুইজারল্যান্ড বলে। চন্দনওয়াড়ি, বেতাব ভ্যালি, আরু ভ্যালি।

কীভাবে যাবেন? বৈশরণ ভ্যালি বা মিনি সুইজারল্যান্ড যেতে হলে আপনাকে হোটেল থেকেই ঘোড়া নিতে হবে। হোটেল থেকে সরাসরি বৈশরণ ভ্যালিতে যেতে হবে। তবে ঘোড়া ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। অন্যদিকে, বাকি আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, চন্দনওয়াড়ি যেতে হলে ছোট গাড়ি ভাড়া করতে হবে। ওখানকার গাড়ি ঘণ্টা হিসেবে ঠিক করতে হয়। সেখানে গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বললেই স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।

প্রত্যেকটি জায়গাই মুগ্ধ করা দৃশ্যে মোড়া। কোথাও শুষ্ক পাহাড়ের গা বেয়ে বরফ নেমে আসছে। কোথাও খাদের দিকে তাকালে সুন্দর পাহাড়ি নদী বয়ে যাচ্ছে। আবার কোথাও স্তর স্তরে বরফ জমে আছে। এসব দেখতে দেখতেই আপনি পৌঁছে যাবেন আরু ভ্যালিতে। সেখানে শব্দ করে বয়ে যাচ্ছে লিদার নদী। যার পাশে দাঁড়ানো যায় না। কনকনে ঠান্ডা ও হাওয়া। চারিদিক পাহাড়ে ঘেরা। মাঝখান দিয়ে সুন্দরভাবে বয়ে গেছে এই নদী। আরু ভ্যালির সৌন্দর্য পুরোটাই এই নদীকে ঘিরে।

এরপর চন্দনওয়াড়ি। একে স্থানীয় ভাষায় চন্দনওয়াদি-ও বলে। কারণ, এই জায়গাটা পুরোপুরি বরফে ঢেকে যাওয়ার আগে চন্দনের বাগান ছিল। মানে, পুরো জায়গাটাই চন্দন গাছে ঘেরা ছিল। তাই এর নামকরণ চন্দনওয়াদি করা হয়। তবে ধীরে ধীরে সময়ের ঘষা লেগে বরফের চাদরে মুড়ে যায়। আর চন্দন গাছও বিলুপ্তি পথে চলে যায়। তবে এখন এই জায়গা স্বর্গের থেকে কিছু কম সুন্দর না। চারিদিক বরফের পাহাড়। মাঝে একটি মসজিদও রয়েছে। যেখান থেকে মাঝেমধ্যেই আজান ভেসে আসছে। সবমিলিয়ে ভীষণ মোহময়ী ওই সৌন্দর্য। এরপর সেখান থেকে আপনি চলে যাবেন বেতাব ভ্যালি। যেখানে বেতাব সিনেমার শুটিং হয়েছিল। এছাড়া সাইট সিন তো রইলই। পুরো দিনটা পেহেলগামের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ফিরে আসতে হবে হোটেলে। এরপর শ্রীনগরে যাওয়ার পালা। ব্যাগ গুছিয়ে তৈরি তো?