শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: এতদিন লাটাগুড়ি (Lataguri) বাজারে থাকা বন দপ্তরের লাটাগুড়ি রেঞ্জ থেকেই জঙ্গল সাফারির (Jungle Safari) টিকিট কাটার সুযোগ পেতেন পর্যটকরা। ফলে দিনের বেশিরভাগ সময় সেখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকত। এছাড়া ক্রেতা, বিক্রেতার ভিড় তো রয়েছেই। তাই ভিড়ে ঠাসা ওই জায়গায় কাউন্টার থাকায় সারাদিন সেখানে যানজট লেগেই থাকত। এছাড়া, সেখানে সাফারি গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গাও নেই। এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিনের দাবি মেনে বন দপ্তরের পুরোনো পিলখানায় টিকিট কাউন্টার সরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বন দপ্তর। সেখানে ভগ্নপ্রায় একটি ঘর সহ খালি জায়গা পড়ে রয়েছে। ওই পিলখানার পরিকাঠামো উন্নয়ন করে সেখান থেকেই জঙ্গল সাফারির টিকিট কাউন্টার (Jungle Safari Ticket Counter) করার চেষ্টা চলছে বলে বন দপ্তর সূত্রে খবর।
জলপাইগুড়ি বন বিভাগের ডিএফও বিকাশ ভি-র কথায়, ‘নতুন জায়গায় টিকিট কাউন্টার আনার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পিলখানাটি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় সেখানে থাকা বন দপ্তরের একটি ঘর ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে। জায়গাটি এভাবে পড়ে থাকলে সেটি দখলও হয়ে যেতে পারে। শীঘ্রই পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।’
লাটাগুড়িতে জঙ্গল সাফারি খোলার পর থেকেই বন দপ্তরের লাটাগুড়ি রেঞ্জ থেকেই জঙ্গলে প্রবেশের টিকিট কাটার সুযোগ পেতেন পর্যটকরা। তবে বাজারের মাঝে থাকা ওই টিকিট কাউন্টারের একপাশে ছিল জাতীয় সড়ক। অন্যদিকে লাটাগুড়ি গার্লস স্কুল। ফলে সবসময় ওই রাস্তায় যানজট লেগেই থাকত। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটত। এছাড়া, লাটাগুড়ি রেঞ্জে বিভিন্ন কাজে সাধারণ মানুষও এসে থাকেন। ঘিঞ্জি জায়গায় সমস্যায় পড়তে হত পর্যটকদেরও। এদিকে, লাটাগুড়িতে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথের পাশে জাতীয় সড়ক থেকে কিছুটা দূরে বন দপ্তরের পুরোনো পিলখানা রয়েছে। সেখানে বন দপ্তরের অব্যবহৃত ভগ্নপ্রায় ঘর ও জায়গা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে। তাই বিভিন্ন সময়ে টিকিট কাউন্টারটিকে পুরোনো পিলখানায় নিয়ে আসার দাবিও তোলা হয়। অবশেষে সেই দাবিপূরণ হতে চলেছে। পিলখানা চত্বরে টিকিট কাউন্টার নিয়ে আসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বন দপ্তরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে লাটাগুড়ি রিসর্ট ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘এই এলাকাটির পরিকাঠামো উন্নয়ন করে টিকিট কাউন্টারটি সেখানে আনলে পর্যটকদের সুবিধা হবে। পাশাপাশি উপকৃত হবেন এলাকার সাফারিচালকরাও। কারণ বর্তমানে যেখানে টিকিট কাউন্টার রয়েছে সেখানে জিপসি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই।