উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ আশা ভঙ্গ আফগানিস্তানের। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে গেল। বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলেও তাঁদের খেলায় মুগ্ধ গোটা ক্রিকেট বিশ্ব। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই তাঁদের লড়াই ছিল সম্মানজনক। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জেতা ম্যাচটা হারতে হয়েছে শুধুমাত্র অভিজ্ঞতার অভাবে। শুক্রবারও তাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে গেল লড়াই করে। কে বলবে আফগানিস্তান আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একেবারেই নবীন। তারা বুঝিয়ে দিয়েছে যে, তারাও ক্রিকেট মাঠে লড়াই করতে জানে!
শুক্রবার আমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টসে জিতে এদিন প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় আফগানিস্তান। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তারা তোলে ২৪৪ রান। ৯৭ রানের চোখ ধাঁধানো ইনিংস খেলেন আফগানিস্তানের আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। ১০৭ বলের লড়াকু ইনিংসে তিনি ৭টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। এছাড়া রহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৫, ইব্রাহিম জাদরান ১৫, রহমত শাহ ২৬, ইক্রম আলিখিল ১২, রশিদ খান ১৪ ও নূর আহমেদ ২৬ রান করেন। ক্যাপ্টেন হাশমতউল্লাহ শাহিদি ২ রান করে আউট হন। ২ রানে সাজঘরে ফেরেন মহম্মদ নবি। মুজিব উর রহমান ৮ ও নবীন উল হক ২ রানের যোগদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৪৪ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন জেরাল্ড কোয়েটজি। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিদি ও কেশব মহারাজ। ১টি উইকেট নেন অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াও। উইকেট পাননি কাগিসো রাবাদা ও এডেন মার্করাম।
২৪৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জবাবে ব্যাট করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে সহজে জিততে পারেনি প্রোটিয়ারা। আফগানিস্তান বোলারদের সামনে ২৪৫ রান তোলা সহজ ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকা ৪৭.৩ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৪৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৫ বল বাকি থাকতে ৫ উইকেটে ম্যাচ জেতে প্রোটিয়ারা।
৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯৫ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন রাসি ভ্যান ডার দাসেন। কুইন্টন ডি’কক করেন ৪১ রান। ৪৭ বলের ইনিংসে তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। তেম্বা বাভুমা ২৩, এডেন মার্করাম ২৫, এনরিখ ক্লাসেন ১০, ডেভিড মিলার ২৪ ও অ্যান্ডিল ফেলুকওয়াও অপরাজিত ৩৯ রানের যোগদান রাখেন।
আফগানিস্তানের রশিদ খান ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৭ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ১০ ওভারে ১টি মেডেন-সহ ৩৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন মহম্মদ নবি। ১টি উইকেট নেন মুজিব উর রহমান। ম্যাচের সেরা হন দাসেন।