গাজোল: মণ্ডপশিল্পী রাজু শেখ, ইসলাম শেখদের নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে দক্ষিণ ভারতের একটি ইসকন মন্দিরের আদলে বিশালাকার মণ্ডপ। মূল মণ্ডপের প্রবেশপথে থাকছে বিশালাকার চারটি ঘোড়া। ভেতরে থাকছে কুড়িটি ছোট মণ্ডপ। সেই সমস্ত মণ্ডপে থাকবে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। মায়ের জন্য তৈরি হচ্ছে আলাদা বড় মাপের মন্দির। সেই মন্দিরেই পূজিত হবেন কালী প্রতিমা। এখন জোরকদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
গাজোল শহর এলাকার মধ্যে সবথেকে প্রাচীন পুজো বর্ধমানের জমিদার দুর্লভ রাম নন্দী চৌধুরী এস্টেটের শ্যামা কালীপুজো। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে গাজোল শহর এলাকায় বেশকিছু নামিদামি কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। তবে শহর এলাকার প্রাণকেন্দ্র গাজোল হাইস্কুল মাঠ সংলগ্ন এলাকা থাকত অন্ধকারময়। ২০১১ সালে বেশকিছু যুবক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হাইস্কুল মাঠে কালীপুজো করবেন। সেই শুরু, তারপর থেকে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে মালদা জেলার বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম পুজো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে গাজোলের ‘একতা’র কালীপুজো। পুজোর দিন ছাড়াও পরবর্তী কয়েকদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য ভিড় জমে থাকে গাজোল হাইস্কুল ময়দানে। এবারেও তার অন্যথা হবে না।
মণ্ডপশিল্পী রাজু শেখ জানিয়েছেন, শনিবারের মধ্যেই সমস্ত কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলবেন তাঁরা। তার আগে থেকেই শুরু হয়ে যাবে আলোকসজ্জার কাজ। ‘একতা’র সভাপতি সুজিত সরকার মিহির জানালেন, এবার তাদের পুজো ১৩ বছরে পা দিল। প্রথম থেকেই জেলার বিগ বাজেটের পুজো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে তাদের পুজো। এবারে পুজোর বাজেট প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা। তার মধ্যে মন্ডপ নির্মাণের খরচ হচ্ছে প্রায় ৭ লক্ষ টাকা।