নাগরাকাটা: আলাদা হয়ে যাওয়া গন্ডার শাবকের মাকে খুঁজতে জঙ্গলে ড্রোন ওড়াবে বন দপ্তর। শনিবার ড্রোনের মাধ্যমে মা গন্ডারকে যদি খুঁজে পাওয়া না যায় তবে রবিবারের কথাও ভেবে রাখা হয়েছে। মাস খানেক বয়সি গরুমারার ওই গন্ডার শাবক বর্তমানে বন দপ্তরের তীক্ষ্ণ নজরদারিতে রয়েছে। দুটি কুনকি হাতি নিয়ে এসে সেখানে অস্থায়ী শিবিরও করা হয়েছে ওই নজরদারির জন্য।
বন দপ্তরের বন্যপ্রাণ শাখার উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, ‘শাবকটিকে ওর মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকছে। মা গন্ডার জঙ্গলের কোথায় আছে তা বোঝার জন্য ড্রোনের সাহায্য নেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।‘ বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, হাতি নানা কারণে শাবককে ছেড়ে দিতে পারে। এমন নজির বহু রয়েছে। তবে গন্ডার তার শাবককে ছেড়ে দিয়েছে এমন দৃষ্টান্ত নেই বললেই চলে। সেই কারণে গরুমারার ওই গন্ডার ছানা সম্ভবত পাশের জলঢাকা নদীতে ভেসে আসে বলে মনে করা হচ্ছে। বন দপ্তরের ধারণা, মায়ের সঙ্গে নদী পেরোতে গিয়ে শাবকটি ভেসে গিয়ে থাকতে পারে। প্রথমে সেটিকে একা দেখা যায় গরুমারা লাগোয়া নাথুয়া রেঞ্জের বনভূমিতে। সেখানে প্রচুর পরিমাণ ঘাস রয়েছে। শাবকটি নিজে থেকে হাঁটাচলাও করতে পারে। সেটির পায়ে মাটি মাখা রয়েছে বলে বনকর্মীরা দেখেছেন।
নদীতে গন্ডার শাবকের ভেসে আসার ঘটনা এর আগেও উত্তরবঙ্গে ঘটেছিল বলে বন দপ্তর সূত্রের খবর। ২০১৩ সালে জলদাপাড়ার জঙ্গলের এমনই একটি শাবককে উদ্ধার করা হয়েছিল। পরে সেটির ঠাঁই হয় কলকাতা চিড়িয়াখানায়। গরুমারা জাতীয় উদ্যানের পেছন দিয়েই বয়ে চলেছে জলঢাকা। নদীর পূর্ব দিকে ওই শাবকটিকে সম্প্রতি বনকর্মীরা টহলদারির সময় দেখতে পান। এলাকাটি নাগরাকাটার বামনডাঙ্গা চা বাগানের জিরো বাঁধ লাগোয়া।