গাজোল: ঘূর্ণিঝড় মিচাংয়ের প্রভাব কিছুটা হলেও পড়েছে এ রাজ্যে। নিম্নচাপের জেরে গত মঙ্গলবার থেকে মেঘলা আকাশ এবং তার সঙ্গে হালকা বৃষ্টির জেরে ঘুম উড়েছে কৃষকদের। বিশেষ করে আমন ধান চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। মঙ্গলবার থেকেই জমি থেকে ধান ঘরে নিয়ে যাওয়ার ব্যস্ততা চোখে পড়েছিল গাজোলে। তবে বুধবার থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। অঝোরে বৃষ্টি মাথায় করেই জমি থেকে খামারে ধান নিয়ে যেতে হয়েছে চাষিদের।
ধান চাষি সুবোধ মণ্ডল জানান, ধান কেটে জমিতে রাখা ছিল। ভেবেছিলাম শনি-রবিবার জমি থেকে বাড়িতে ধান নিয়ে যাব। কিন্তু বুধবার থেকে লাগাতার বৃষ্টির জেরে ধান নিয়ে আসতে পারছি না। কেটে রাখা জমিতে জল জমে গেলে সব ধান বরবাদ হয়ে যাবে। তবুও চেষ্টা করছি যতটা বেশি পরিমাণ ধান নিয়ে যেতে পারা যায়।
গাজোল ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা মাসিদুর রাকিব জানান, গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত গাজোলে ২.৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাতের পরিমাণ যদি পাঁচ মিলিমিটার ছাড়িয়ে যায় তাহলে বড়সড়ো ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও কেটে রাখা ধানের জমিতে জল জমে গেলেও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে প্রায় ৯০ শতাংশ জমি থেকে ধান চাষিদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত বড়সড়ো ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। আশা করছি আগামীকাল থেকে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তবে মরশুমের বিভিন্ন ফসলের জন্য এই বৃষ্টি ভালই কাজে দেবে। বিশেষ করে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি, সরষে এবং ভুট্টা চাষের জন্য অনেকটা উপকারে লাগবে। তবে যে সমস্ত কৃষক ভাইয়েরা আলু বপন করেছেন তাদের জমিতে জল দাঁড়িয়ে গেলে সামান্য ক্ষতি হতে পারে। এছাড়াও যে সমস্ত আলু চাষি বীজ বোনার জন্য জমির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদেরও একটু অসুবিধে হতে পারে। আগামীকাল থেকে আবহাওয়া পরিষ্কার হলে দুই একদিনের মধ্যে সমস্ত কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে।