কোচবিহার: কোচবিহারে এবিএন শীল কলেজে পা রাখতেই ছাত্র-ছাত্রীদের তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়তে হল যাদবপুরের রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত অধ্যাপক রানা রায়কে। ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রারকে হুমকিকাণ্ডে রাণা রায়কে গ্রেপ্তারও করেছিল পুলিশ। কিন্তু তারপর জামিন পেয়েই নিজের কলেজে যোগ দিতে আসেন ইতিহাসের অ্যাসোসিয়েট অধ্যাপক। তিনি অধ্যক্ষ নিলয় রায়ের ঘরে ঢুকতেই ছাত্রছাত্রীরা ঘরের বাইরে জড়ো হয়ে ‘গো ব্যাক’ স্লোগান দিতে থাকেন। রানা রায় ঘর থেকে বেরহতেই তার পেছনে স্লোগান দিতে থাকে পড়ুয়ারা। রানাবাবু জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি কাউকে হুমকি দেননি।
উল্লেখ্য, ভুবনেশ্বরের একটি হোটেল থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। যাদবপুর থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৬, ৫০৯ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল রানা রায়ের বিরুদ্ধে। রানার বাড়ি বেলগাছিয়ায় হলেও তিনি কর্মসূত্রে কোচবিহারেই থাকতেন। কিন্তু গত চার মাস ধরে তাঁর দেখা মেলেনি। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি মেডিকেল লিভে ছিলেন। রানার বিরুদ্ধে এর আগে ২০১৯ সালে শ্লীলতাহানির অভিযোগও দায়ের হয়েছিল। কিন্তু তখন রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তিনি পলাতক বলে জানানো হয়েছিল আদালতে। পরে গত ফেব্রুয়ারি মাসে শিয়ালদহের ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয় এবং শেষে আদালতের নির্দেশে আবার জামিনও পেয়ে যান রানা। এদিন তিনি কাজে যোগ দিতে এলেও শেষ পর্যন্ত যোগ দিতে পারেননি। নথিপত্র সংক্রান্ত কিছু সমস্যার জন্য তিনি যোগ দিতে পারেননি বলে জানা গেছে। কলেজের অধ্যক্ষ নিলয় রায় জানিয়েছেন, উনি কাজে যোগ দিতে এসেছিলেন ওনাকে ফিট সার্টিফিকেট নিয়ে আসতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে কলেজ সূত্রের খবর, রানা রায়ের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই বিকাশ ভবনে ১০০ পাতার রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁকে কাজে যোগ দিতে দেওয়ার আগেও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে নিতে চান কলেজ কর্তৃপক্ষ।