উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: লালুপ্রসাদ যাদবের তত্ত্বাবধানে মাটন রান্নায় হাত লাগালেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি। লালুপ্রসাদের বাড়ি গিয়েই বিহারের বিখ্যাত খাবার চম্পারণ মাটনে রাঁধতে সোজা রান্না ঘরে ছুটলেন রাহুল। মাংস ম্যারিনেশন থেকে শুরু করে রান্না অবধি সবটাই নিজে দাঁড়িয়ে থেকে করেন কংগ্রেস নেতা। সেই রান্নার ফাঁকে চলে ব্যক্তিগত আলাপচারিতা ও রাজনৈতিক কথাবার্তা। রান্না পর সেই মাটন নিজে লালুপ্রসাদের বাড়িতে বসে রুটি দিয়ে খান। পাশাপাশি বোন প্রিয়াংকা গান্ধির জন্যও সেই মাটন নিয়ে যান তিনি। আর এই সমস্ত কিছুই দেখা গেল রাহুলের শেয়ার করা ইউটিউব ভিডিওতে।
সেই ভিডিওর শুরুতে দেখা যাচ্ছে, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বাসভবনে পৌঁছে যান রাহুল। সেখানে লালুর পাশাপাশি পুত্র তেজস্বী যাদব ও কন্যা মিসা ভারতী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাই স্বাগত জানান রাহুলকে। তারপরেই সোজা রান্নাঘরে ঢুকে শুরু হয় রান্না। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নজরদারিতে শুরু হয় চম্পারন মাটন। সাহায্য করেন মিসাও। রান্নার ফাঁকেই আড্ডায় মেতে ওঠেন রাজনীতিবিদরা। সেইসময় লালু জানান, তিনি ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই বেশ ভাল রান্না করতে পারেন। রাহুলের দাবি, তিনিও মোটামুটি রান্না পারেন। যখন ইউরোপে একাই থাকতেন, তখন তিনি রান্না করতেন। এরপরেই রাহুল লালুপ্রসাদকে তাঁর প্রশ্ন, ‘রাজনীতির ক্ষেত্রে আপনার মশলা কী?’ লালু জবাব দেন, ‘কঠোর পরিশ্রমই রাজনীতির একমাত্র মশলা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে হবে।‘ রাহুল আরও প্রশ্ন করেন, ‘রান্নায় যেভাবে সব উপকরণ একসঙ্গে মেশাতে হয়, রাজনীতির ক্ষেত্রেও কি তাই? আমি অবশ্য সকলকে মিলিয়ে রাজনীতি করতেই বিশ্বাসী।‘ এভাবেই ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক কথপোকথনের মাধ্যমে রান্নাপর্ব শেষ হয়।
পরবর্তীতে রান্না শেষ করে লালুর পরিবারের সঙ্গে বসে রুটি দিয়ে মাটন খেয়ে দেখেন রাহুল। এরপর বোনের জন্য নিয়ে যান তিনি। দাদার হাতের রান্না খান প্রিয়াংকা গান্ধি। হাসিমুখেই তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘এটা সত্যিই তুমি রেঁধেছ?’ উত্তরে রাহুল বলেন, ‘লালুজি ও মিসার সঙ্গে মিলে রান্না করেছি।‘